লাইফ সার্টিফিকেট দিতে অনীহা পেনশনভোগীদের, সমাধানে কী পদক্ষেপ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বছরের পর বছর লাইফ সার্টিফিকেট জমা করছেন না পেনশনভোগীরা। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পেনশন। বছরে যে কোনও সময় লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নিয়ম লাগু থাকলেও তা জমা দিতে নিস্পৃহ প্রবীণদের একাংশ। বাংলায় গত এক বছরে ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার লাইফ সার্টিফিকেট জমা হয়নি। সেই সঙ্গে বাংলাতেও ৪২ হাজারের বেশি এবং দেশজুড়ে ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৮৮ পেনশন গ্রাহক টানা ৩ বছর ধরে জমা দেন নি জীবন শংসাপত্র। এই বিরাট সংখ্যক উপভোক্তা পেনশন পাচ্ছেন না।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে লাইফ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার কী কী কারণ
- অসুস্থতা: অনেক প্রবীণ শারীরিকভাবে অক্ষম, তাই ব্যাঙ্কে বা ডাকঘরে যেতে পারেন না।
- সচেতনতার অভাব: অনেকেই জানেন না কখন এবং কীভাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়।
- জটিল প্রক্রিয়া: লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
- ব্যাঙ্ক/ডাকঘরের দূরত্ব: অনেক প্রবীণের বাড়ি থেকে নিকটতম ব্যাঙ্ক/ডাকঘর অনেক দূরে অবস্থিত।
- ডিজিটাল মাধ্যমে অসুবিধা: অনেকেই ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন না।
ইপিএফও দপ্তরে সদ্য নিযুক্ত হওয়া সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে থাকা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করছেন। তাঁরা মৃত পেনশনভোগীদের পরিবারকে ফ্যামিলি পেনশন পেতে সহায়তা করবেন বলে জানা গিয়েছে। জীবিত পেনশনভোগীদের লাইফ সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে সচেতনতা বৃদ্ধির উপরও জোর দেন তাঁরা। সমাধানে কী কী পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হয়েছে দপ্তর?
- সহজ ভাষায় প্রক্রিয়া সম্পর্কে নির্দেশিকা প্রদান
- ডিজিটাল মাধ্যমে মুখের ছবি ও আধার ব্যবহার করে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সুযোগ
- প্রবীণদের সুবিধার্থে নিকটতম এলাকায় ব্যাঙ্ক/ডাকঘর স্থাপন
- লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুত করা হবে।
উল্লেখ্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে, ৬ লক্ষ ৬০ হাজার পেনশনভোগী মুখের ছবি ব্যবহার করে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করেছেন। ইপিএফও আশা করছে, নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে আরও বেশি পেনশনভোগী নিয়মিত লাইফ সার্টিফিকেট জমা করবেন।
তথ্যঋণ: https://jeevanpramaan.gov.in/