এবার নতুন করে সেজে উঠছে ওয়াসেফ মঞ্জিল, জুলাই মাসেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মুর্শিদাবাদ শহরে কিল্লা নিজামতে অবস্থিত নবাবি স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হাজারদুয়ারি প্যালেস মিউজিয়ামের পিছনেই রয়েছে ওয়াসেফ মঞ্জিল বা নিউ প্যালেস। মুর্শিদাবাদের নবাবি ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রথম নবাব বাহাদুর অব মুর্শিদাবাদ ফেরাদুন জাঁর নাতি ওয়াসেফ আলি মির্জা প্রাসাদটি নির্মাণ করান। তার নামানুসারে প্রাসাদটি ওয়াসেফ মঞ্জিল নামে পরিচিত।
ওয়াসেফ আলি মির্জার মৃত্যুর পরে তার পুত্র ওয়ারেশ আলি মির্জা প্রাসাদটিতে বসবাস শুরু করেন। ওয়ারেশ আলি মির্জা মারা গেলে মুর্শিদাবাদ এস্টেট প্রাসাদটি অধিগ্রহণ করে। পরে টিকিটের বিনিময়ে প্রাসাদটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই হাজারদুয়ারি প্যালেস মিউজিয়ামের পাশাপাশি ওয়াসেফ মঞ্জিল পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। ২০১০ সালের শেষ দিকে রাজ্য পর্যটন দপ্তর প্রাসাদটি অধিগ্রহণ করে। তারপরে থেকে তালা বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল নবাবি স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শনটি।
এবার নতুন করে সেজে উঠছে নবাবি স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন ওয়াসেফ মঞ্জিল বা নিউ প্যালেস। সম্পূর্ণ প্রাসাদটি রং করার পাশাপাশি ভিতর ও বাইরে সংস্কারের কাজ জোরকদমে চলছে। চলতি মাসে কাজ শেষ করে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই পর্যটকদের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে বলে মুর্শিদাবাদ এস্টেট সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নবাবি স্থাপত্যের এই নিদর্শনটি আগামী দিনে পর্যটকদের পাশাপাশি উৎসাহী, গবেষক ও ছাত্রদের অন্যতম গন্তব্যস্থল হয়ে উঠবে।হাজারদুয়ারি প্যালেস মিউজিয়াম চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে গাইডের পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন গোপাল দাস, পোখরাজ শেখ। পোখরাজ শেখ বলেন, দশ বছরের বেশি সময় ধরে ওয়াসেফ মঞ্জিল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। পর্যটকরা প্রাসাদটির বিষয়ে খোঁজখবর নিতেন। বন্ধ রয়েছে শুনে অনেকেই ক্ষুণ্ণ হতেন। সংস্কার না করে তড়িঘড়ি খুলে দেওয়ায় সেভাবে পর্যটক হচ্ছিল না। এবার একেবারে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আশা করছি, পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।