শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরের পরিকাঠামো ঢেলে সাজার কাজ চলছে জোরকদমে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দীঘা মোহনার অদূরে ১৮হেক্টর জায়গার উপর শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর রয়েছে। বর্তমানে কাঁথির উপকূলে যে ক’টি মৎস্যবন্দর রয়েছে, তার মধ্যে শঙ্করপুরই সবচেয়ে পুরনো। এই বন্দর থেকে নথিভুক্ত তিনশোর কাছাকাছি ট্রলার-লঞ্চ সমুদ্রে যাত্রা করে। বন্দরে দু’টি জেটি সহ অন্যান্য পরিকাঠামো রয়েছে। এই মৎস্যবন্দরের উপর কয়েক হাজার মৎস্যজীবী সহ বহু মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। বন্দরে বরফকলের অপারেটর হিসেবে এবং বরফ লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজে অনেকেই যুক্ত রয়েছেন। মাছ ধরার মরশুমে গমগম করে বন্দর এলাকা।
সেই রামনগরের শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরের পরিকাঠামো ঢেলে সাজার কাজ চলছে জোরকদমে। বন্দরের সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের জন্য ‘মৎস্য যোজনা’ প্রকল্পে ১৩কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই অর্থে বন্দরের বরফ কলগুলির আধুনিকীকরণের পাশাপাশি রাস্তাঘাট আলো ও পানীয় জলের পরিষেবা ঢেলে সাজার কাজ হচ্ছে। মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে যাবতীয় কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে বন্দরের নাব্যতার সমস্যা সমাধানে ড্রেজিংয়ের কাজের ১৩কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।
বন্দরের রাস্তাঘাট অনেকদিন সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়ে গিয়েছে। সেগুলি সংস্কার করা হচ্ছে। পুরনো, নষ্ট পথবাতি সরিয়ে নতুন লাগানো হচ্ছে। বন্দরে পানীয় জলের ব্যবস্থা মান্ধাতার আমলের। পাইপলাইন ও ট্যাঙ্ক পুরনো। মাঝেমধ্যেই পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়। সেই পরিকাঠামোও নতুনভাবে তৈরির কাজ চলছে। বন্দরের স্টাফ কোয়ার্টারও নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে। দু’টি জেটি থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ট্রলার-লঞ্চ নোঙর করা কিংবা মাছ লোডিং-আনলোডিং সহ নানা সমস্যা হয়। আগামী দিনে জেটির সংখ্যা বাড়ানো হবে।