বাংলায় আর কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়! কী নির্দেশ আদালতের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলায় আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ বাড়াল না আদালত। বুধবার, মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছে;
রাজ্য সরকারকেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। লোকসভা ভোট মিটলেও ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক অভিযোগ থাকায়, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা ৫ দিন বাড়ানো হয়েছিল আদালতের নির্দেশের।
বুধবার সেই সময়সীমা শেষ হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আর মেয়াদ বাড়ায়নি। আদালতের নির্দেশ, রাজ্যের শান্তি বজায় রাখতে সরকারকেই ভূমিকা পালন করতে হবে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্র সরকার যদি মনে করে রাজ্য নিজের ভূমিকা পালন করতে পারছে না, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে রাজ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ১০৭টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। রাজ্যের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় ৯২টি অভিযোগের ক্ষেত্রে ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পাওয়া যায়নি। ১১৪টি অভিযোগের অনুসন্ধান করে কোনও অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৮টি অভিযোগ ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়।
স্কুলে স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছিল। গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেও বাহিনী থাকার কারণে অনেক স্কুলে ক্লাস করানো যাচ্ছিল না। যা নিয়ে নবান্নের পদক্ষেপের পর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেন।