হকার উচ্ছেদ লক্ষ্য নয়, আপাতত একমাস উচ্ছেদ হবে না: নবান্নে মমতা, দেখুন ভিডিও
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফুটপাত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। ফুটপাত থেকে শুরু করে সরকারি জমি জবরদখল, কোনওদিকে নজর না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েছেন পুলিশের শীর্ষকর্তারা এমনকি খোদ রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। মানুষের দুর্ভোগ ঘোচাতে জোরকদমে মাঠে নেমেছে পুরসভা ও প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে চলছে হকার উচ্ছেদ। আজ, বৃহস্পতিবার হকার ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
মমতা এদিন বলেন, হকার উচ্ছেদ লক্ষ্য নয়। বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, বিভিন্ন দপ্তরের আমলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের কমিশনার এবং কর্তারা। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরাও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মমতা এদিন কী কী বললেন, দেখে নিন এক নজরে:
হকার উচ্ছেদ রাজ্যের লক্ষ্য নয়। তৈরি করা হবে নির্দিষ্ট হকার জোন। হকারদের পুনর্বাসনের জায়গা দেওয়া হবে, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না।
একজন হকারকে একটাই জায়গা দেওয়া হবে। গোটা ব্যাপারটার সৌন্দর্য্য বজায় রাখতে হবে। আগুন লাগবে না এমন জিনিস দিয়ে স্টল বানাতে হবে। প্রতিটি স্টলের নম্বর থাকবে।
বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া হবে না।
রাজারহাটে হকারদের জন্য সার্ভে করে আলাদা জায়গা দেখার নিদান।
হকার জোনের পাশে দমকল থাকতে পারে এমন একটি ভবন দেখার নির্দেশ।
নগরোন্নয়ন ও পুর সচিব জেলায় ঘুরে ঘুরে হকার জোন খোঁজার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
হকারদের একমাস সময় বেঁধে দেন মমতা। বললেন, আপাতত একমাস উচ্ছেদ হবে না। তার মধ্যে রাজ্যে সার্ভের কাজ চলবে। তার মধ্যে সব ঠিক করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হকারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষ আমাদের। কাউকে বেকার করার অধিকার আমাদের নেই। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। আমি চাই না কারও ব্যবসা বন্ধ হোক। কিন্তু বেশি সময় দেওয়া যাবে না।
যে এলাকায় বেআইনি দখল হবে সেখানকার কাউন্সিলরদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মমতা। যত বড়ই নেতা হোক তাঁকে ছাড়া হবে না।
বেআইনি পার্কিং ভেঙে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাস্তায় আবর্জনা ফেললে জরিমানা করা হবে।