ন্যায়সংহিতার প্রতিবাদে ১ জুলাই থেকে পথে নামবে বার কাউন্সিল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসির বদলে আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে লাগু হবে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা। সিআরপিসির বদলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম চালু হবে দেশে। কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিরোধীরা আগেই সরব হয়েছিল। বেনজিরভাবে বিরোধী সাংসদদের বরখাস্ত করে বিল পাশ করে দ্বিতীয় মোদী সরকার। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ১ জুলাই রাজ্যজুড়ে পথে নামবে আইনজীবীদের সংগঠন বার কাউন্সিল।
কেন্দ্রের নয়া এই আইনকে কালা আইন আখ্যা দেওয়া হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে নয়া আইনের জেরে। আগামী ১ জুলাই তাঁরা পথে নামবেন। কলকাতা হাইকোর্ট-সহ রাজ্যের সমস্ত জেলা, মহকুমা এবং দায়রা আদালতে নয়া আইনের প্রতিবাদে ওই দিন মিটিং মিছিল করবেন। ১ জুলাই আদালত খোলা থাকলেও, উভয়পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকলে বিচারপতিরা যেন কোনও নির্দেশ না দেন, এমন অনুরোধ জানিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছে বার কাউন্সিল। বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া, রাজ্য বার কাউন্সিলকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে যে, আগামী ১ জুলাই যেন আন্দোলনের নামে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
নয়া আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। তাদের বক্তব্য, ব্রিটিশ আইনে গ্রেপ্তারের পর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ ১৪ দিন হেপাজতে রাখতে পারে পুলিশ। নয়া আইনে বলা হয়েছে ৬০ বা ৯০ দিন অবধি পুলিশ অভিযুক্তকে হেপাজতে রাখতে পারবে। সুপ্রিম কোর্ট একাধিক মামলায় বলেছে, অভিযোগ দায়ের হলেই গারদে আটকে রাখার ব্রিটিশ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুক পুলিশ। পুলিশ হেপাজতে থাকা বন্দির প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিধান বাতিল হয়েছে নয়া আইনে। এখানে বলা হয়েছে, চিকিৎসক মনে করলে তবেই অভিযুক্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যেতে পারে।
নয়া আইনে ৩৩টি অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা ও কারাবাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ৬ মাসের সাজা বাড়িয়ে ১ বা ২ বছর করা হয়েছে। দুই বছরের কারাবাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৩ বা ৫ বছর। বহু অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর আমৃত্যু কারাবাসের থাকার বিধান রয়েছে নয়া আইনে। ইউএপিএ-সহ দেশদ্রোহিতার অভিযোগের বিচারের ধারাগুলি আগের মতোই বহাল রয়েছে।