রাস্তাঘাটে যত্রতত্র জঞ্জাল ফেললে আর রেহাই নেই, এবার থেকে দিতে হবে জরিমানা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নীল-সাদা রং করা ফ্লাইওভারের মাঝে হঠাৎই দেখা যায় পানের পিকের ছাপ। বাদ যায় না হাসপাতাল, রেল স্টেশনের দেওয়াল-পাঁচিল-মেঝে। পার্ক সার্কাস চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের বিভিন্ন দেওয়াল পানের পিকের রঙে লাল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। চলন্ত বাস-গাড়ি থেকে খাবারের প্যাকেট রাস্তায় ছুড়ে ফেলার প্রবণতা রয়েছে মানুষের। রাস্তাঘাটে যত্রতত্র জঞ্জাল ফেললে আর রেহাই নেই। এবার থেকে দিতে হবে জরিমানা। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ কথা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে শহরের নাগরিকরা। তাঁদেরও সাফ বক্তব্য, ‘অবশ্যই জরিমানা করা উচিত। যেভাবে যত্রতত্র লোকজন ময়লা ফেলে, এতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়।’ বাঘাযতীনের এক বাসিন্দা বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে এদিন বলেন, ‘প্লাস্টিকের জন্য রাস্তায় প্রায়শই জল জমে যায়। আমাদের এলাকা জলে ভরে যায়। আমরা নিজেরা গিয়ে প্লাস্টিক মাঝেমধ্যেই সরিয়ে দিই। আবার দেখি, বাজার-চা দোকানে চা খেয়ে রাস্তাতেই অনেকে ভাঁড় বা কাপ ফেলেন। এর জন্যই বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। সঠিক সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর। জরিমানা হলেই এসব বন্ধ হবে।’ দক্ষিণ কলকাতার অনেকের বক্তব্য, ‘নাকতলা-বাঁশদ্রোণীতেও রাস্তা ভর্তি থাকে জঞ্জালে। সর্বদা দুর্গন্ধও বের হয়।’ আবার উত্তর কলকাতার বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘এই চিত্র শুধু দক্ষিণ কলকাতায় নয়। শিয়ালদহ-কলেজ স্ট্রিট চত্বরেও যেখানে সেখানে জঞ্জাল পড়ে থাকতে দেখা যায়।’
গড়িয়াহাট মোড়ে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি বললেন, ‘তাও জঞ্জাল ফেলার প্রশ্নে শহরবাসী এখন খানিক হলেও সংযত হয়েছেন বলে আমার মনে হয়। কিন্তু সিগন্যালে গাড়ি বা বাস দাঁড়ালেই জানলা থেকে পানের পিক ফেলার প্রবণতা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। শুধু চালক নয়, যাত্রীদের মধ্যেও জানলা দিয়ে পানের পিক, থুতু ফেলার অভ্যাস রয়েছে। ওগুলোও জরিমানা করে বন্ধ হওয়া দরকার।’