অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপিতে সভাপতির পদে রদবদল হতে চলেছে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবারের লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট থেকে সাংসদ হয়ে কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফলে বিজেপির এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মেনে তাঁকে যেকোনও একটি দায়িত্ব সামলাতে হবে। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলালে স্বাভাবিকভাবেই দলের রাজ্য সভাপতির ব্যাটন অন্য কারও হাতে তুলে দিতে হবে সুকান্তবাবুকে। কিন্তু কে হবেন বিজেপির পরবর্তী বঙ্গ সভাপতি? আপাতত এ প্রশ্নকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, অগাস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গ বিজেপি সভাপতির পদে রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু বঙ্গ বিজেপি সভাপতি পদেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন স্তরে রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, জোন ইনচার্জ, জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি, জেলা ইনচার্জ, সহ-ইনচার্জদের বদলি হতে পারে। বর্তমানে বাংলায় বিজেপির 42টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। ১৩-১৪টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া প্রায় আড়াইশ মন্ডলেরও সভাপতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপির পরবর্তী বঙ্গ সভাপতি হচ্ছেন দেবশ্রী চৌধুরী, বঙ্গ বিজেপি’র অন্দরে এখন এরকমই জল্পনা চলছে। দেবশ্রী বালুরঘাটের মেয়ে। পড়াশোনাও সেখানে। খাদিমপুর গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক। তার পরে বালুরঘাট কলেজ। ছোট থেকেই সংযোগ সঙ্ঘের সঙ্গে। কলেজ জীবনেই এবিভিপি-তে নজর কাড়েন সাংগঠনিক স্তরে। ফলে যুব মোর্চায় তাঁর উত্তরণও ঘটে দ্রুতই। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে দেবশ্রীকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। রাজনীতিতে তখন আনকোরা বাবুল সুপ্রিয় পাশের আসন আসানসোল থেকে জিতলেও দেবশ্রী বর্ধমান-দুর্গাপুরে সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি।
তবে ২০১৯ সালের রায়গঞ্জ আসন থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন দেবশ্রী। বিরোধীরা বলেন, মহম্মদ সেলিম এবং দীপা দাশমুন্সির দ্বৈরথ ওই আসনে দেবশ্রীকে বৈতরণী পার করিয়ে দিয়েছিল। ফলে দেবশ্রী যে মন্ত্রী হতে পারেন, তা-ও কেউ আশা করেননি। রাজ্য বিজেপি-র নেতাদের অনেকেই অবাক হয়েছিলেন রায়গঞ্জের সাংসদের নাম কেন্দ্র্রীয় মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণার পরে।
২০২৪-এ দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ আসনে তাঁর প্রার্থিপদ নিয়ে বিস্তর টানাপড়েন চলেছে দলের অন্দরে। বিজেপি সূত্রে খবর, দেবশ্রীই আর রায়গঞ্জ থেকে ভোটে দাঁড়াতে চাইছিলেন না। তিনি চেয়েছিলেন দমদম আসন থেকে লড়তে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী করে পদ্মশিবির। কোনও অঘটনও ঘটেনি। মালা রায়ের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি।