চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বর্ষা এসে গিয়েছে, চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে ক্রমেই বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। সপ্তাহান্তে শনি ও রবিবার আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষের ভিড় হচ্ছে মন্দিরে। খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তীব্র গরমে পর্যটক আসছিল না। দোরগোড়ায় বর্ষার আসতেই ফের পর্যটক আসতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, জুলাই ও আগস্ট মাস থেকে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে।
জঙ্গলের মধ্যে কনকদুর্গা মন্দিরে বিরাজ করেন দেবী দুর্গা। শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরে একদা মাওবাদী আন্দোলনের জেরে পর্যটকদের দেখা পাওয়া যেত না। সরকার বদলের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চিল্কিগড় মন্দিরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। মন্দির পরিদর্শন করে মন্দির সংস্কারের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেবী তিনি। মন্দির চত্বর ঢেলে সাজানোর কাজ হয়েছে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে ৬০ একর জঙ্গলের মধ্যে থাকা কনকদুর্গার মন্দিরের পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করা হয়। তৈরি করা হয়েছে বিশাল গেট। মন্দির প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের জন্য জঙ্গল ঘেঁষে তৈরি করা হয় বসার জায়গা। মন্দিরের চারপাশ বাঁধিয়ে দেওয়া হয়। মন্দির চত্বরে তৈরি করা হয় শিশু উদ্যান। বিশাল জায়গাজুড়ে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। মূল মন্দিরের পাশে থাকা প্রাচীন বিষ্ণু মন্দিরও সংস্কার করা হয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণে তৈরি হয়েছে গেস্ট হাউস। এখন শনি ও রবিবার মন্দিরে বেশ ভিড় হচ্ছে। মন্দির চত্বর বাঁধিয়ে দেওয়ায় বর্ষায় আর সমস্যা হবে না। মন্দির চত্বর খুবই পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। এতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা।