দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার বঙ্গ বিজেপি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লক্ষ্য ছিল ৩০ পার করার। কিন্তু ১২ আসনে আটকে গিয়েছে বিজেপি। সেই বিপর্যয়ের ‘ধাক্কা’ কাটার আগেই দলের ভিতরে নানা প্রশ্নে জেরবার রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সাংগঠনিক ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই অনেক নেতার আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়েও উঠছে নানা অভিযোগ।
সে সব সমালোচনার মধ্যে পাঁচটি বিষয় কাঁটার মতো বিঁধছে পদ্মশিবিরের কর্তাদের। যদিও সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি ও উদ্বেগের বিষয় দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ।
ভোটের জন্য বরাদ্দ তহবিলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ বিজেপির ভেতর থেকে বিগত কয়েকদিন ধরেই উঠেছে। লোকসভা ভোটে হতাশাজনক ফলাফল হতেই টাকা নয়ছয় নিয়ে দলীয় কর্মীদের কাঠগড়ায় তোলেন কৃষ্ঞনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। তারপর দলের প্রচারের টাকা নয়ছয় নিয়ে নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির দৃশ্যও দেখেছে বারুইপুর।
যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরকে। আর সেইসমস্ত বিষয় নিয়েই দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে জোরকদমে।
দলের নেতাদের অভিযোগ বরাদ্দ টাকার সিংহভাগই পৌঁছায়নি সংগঠনের নিচুস্তরে। ফলে তৃণমূলস্তরে অর্থ্যাত্ বুথস্তরে কার্যকলাপ অনেকটাই আশানুরূপ হয়নি বলেই দাবি তাঁদের। যদিও খাতায়-কলমে বুথের নাম থাকলেও বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্ব ছিল না। ফলে বুথের জন্য বরাদ্দ একটা মোটা অঙ্কের টাকা দলের একাংশের ‘পকেটস্থ’ হয়েছে বলেই জোর সওয়াল উঠেছে মুরলীধর সেন স্ট্রিটের রাজ্য বিজেপির দপ্তরে।
আবার কেন্দ্রীয়ভাবে ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ নামে যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল তাতে বাস্তবে দেখা যায় অধিকাংশ বুথেই বিজেপির কোনও অস্তিত্ব ছিল না। এমনকি রাজ্যের ৮০ হাজার বুথের ৭০ শতাংশেই বুথ নেতা-কর্মীদের অভাব স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। যারজেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দলীয় সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির কাজ। ভোটের সময় বেকায়দায় পড়ে স্থানীয়দের পারিশ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হয়েছিল। তারফলে ‘অলিখিত’ এই টাকা ছড়ানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু এই ‘ভূতুরে বুথ কোথায় কোথায় ছিল এবং কারা ছিল এই ভূতুরে বুথ’ কর্মী? তা নিয়েও প্রশ্নে জেরবার বিজেপির অন্দরমহল।