জুনের শেষ ৯ দিনে কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটা কমল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জুনে বৃষ্টির ঘাটতিতে ভুগেছে দক্ষিণবঙ্গ। আর জুনেই অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পর্যুদস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ। টানা দুর্যোগে ক্রমশই বিপদসঙ্কুল পাহাড়। আর এখনও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে চূড়ান্ত কষ্টে দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের আবহে রাজ্যের কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও টানা কয়েক ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি এখনও দেখা যায়নি। জুনের শুরু থেকে টানা তিন সপ্তাহ কার্যত প্রখর দাবদাহ চলেছে। বৃষ্টি হয়েছে ছিটেফোঁটা। কিন্তু জুনের শেষ ন’দিনে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তেই কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি কমে অর্ধেক হয়েছে। এই মাসে কলকাতায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৩.২ মিমি (মিলিমিটার)। সেখানে ২১ জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল মাত্র ৯.৯ মিমি। আবহাওয়া দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৯৫ শতাংশ। মাসের শেষে তা কমে ৪৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ২৬ জুনের পর থেকে শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। ওই দিন পর্যন্ত কলকাতায় ২৬.৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল। ঘাটতি ছিল ৬৮ শতাংশ। সেখানে মাসের একেবারে শেষ লগ্নে ২৪ ঘন্টায় ৭৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতায়। তবে শহরে একদিনে আরও বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রয়েছে আগেই। ২০২১ সালের ১৭ জুন কলকাতায় ১৪৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২৬ জুন হয়েছিল ১৬২ মিমি বৃষ্টি। তবে ১৯০৮ সালের ১৮ জুন একদিনে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের রেকর্ড (৩০৩.৫ মিমি) রয়েছে কলকাতায়।
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের উপর সক্রিয় নিম্নচাপ। এর প্রভাব শুরু হবে বুধবার। সেদিন থেকেই ভারী বৃষ্টির শুরু হতে পারে। বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাতেও। সাগর হতে পারে উথালপাথাল। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। সোম ও মঙ্গল সাগরে ঢেউয়ের উচ্চতাও বাড়বে।