গড়িয়া থেকে নিউমার্কেট, কলকাতার ৫ জায়গায় শুরু ডিজিটাল হকার সমীক্ষা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে ডিজিটাল হকার সমীক্ষা। প্রথম দিন বেহালা, গড়িয়া, হাতিবাগান, নিউমার্কেট, গ্র্যান্ড হোটেলসহ পাঁচ জায়গায় অ্যাপের সাহায্যে শুরু হয়েছে এই সমীক্ষা। ‘হাজিরা যাঁর, ডালা তাঁর’-এই ভিত্তিতে হকারদের পুনর্বাসনের জন্য সমীক্ষা চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
এই সমীক্ষার মাধ্যমে পুর কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত লক্ষ্য অর্জন করতে চায়:
- নিবন্ধিত হকারদের সঠিক তালিকা তৈরি করা: প্রতিটি স্টলের বৈধ মালিককে চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেওয়া।
- অবৈধ দখল রোধ করা: একজন হকারের জন্য সর্বোচ্চ একটি স্টল বরাদ্দ করা হবে। ফলে, ফুটপাত দখল করে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হবে।
- ডালা বিক্রির অসাধু কারবার বন্ধ করা: আধার ও প্যানের সাথে হকারদের তথ্য যাচাই করা হবে যাতে ডালা বিক্রির অসৎ ব্যবসা বন্ধ করা যাবে।
- ফুটপাতের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা: রাস্তার উপর বা রাস্তার দিকে মুখ করে ব্যবসা চালানো বন্ধ করা হবে। সকল স্টলের পিছন দিক ঢেকে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, পুরকর্মীদের সমীক্ষায় সাহায্য করছে সংশ্লিষ্ট থানা। রাস্তায় না বসার আবেদন করে মাইকিং চালানো হচ্ছে। পুর কর্মীরা প্রতিটি হকারের কাছ থেকে নাম, ঠিকানা, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ছবি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করছেন। তা সরকারি অ্যাপে নথিভুক্ত করছেন। ২০১৫ সালের হকার তালিকার সাথে নতুন তথ্যগুলি মিলিয়ে দেখ দেখছেন। স্টলের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় হকারের ছবি তোলা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যসরকার
প্রথম দিন ১ জুলাই সোমবারের সমীক্ষায় সব মিলিয়ে ৩১২ জন হকারের তথ্য অ্যাপে নথিভুক্ত হয়েছে। সমীক্ষার তত্ত্বাবধান করছেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। সমীক্ষাটি এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এরপর, হকারদের জন্য পুনর্বাসন ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতার হকারদের জন্য এই সমীক্ষাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।এটি শহরের ফুটপাতগুলিকে আরও সংগঠিত এবং ব্যবস্থাপিত করবে বলে আশা করা যায়। এর ফলে হকারদের জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং তাদের দীর্ঘমেয়াদি জীবিকা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন শহরের নাগরিকবৃন্দ।