পুকুরে স্নানের পরই অ্যামিবা খুবলে খেল মস্তিষ্ক, মৃত্যু ১৪ বছরের কিশোরের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পুকুরের জলে স্নান করতে নেমে মৃত্যু হল ১৪ বছরের এক কিশোরের। জলে ডুবে নয়, মাথায় অ্যামিবা ঢুকে! কেরলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও কেরলে এমন অ্যামিবা সংক্রমণ দেখা গেছিল। তার জেরে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ৬ জনের।
স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, মৃদুল একটি ছোট পুকুরে স্নান করেছিল। সেখানকার দূষিত জলে থাকা নন-প্যারাসাইট অ্যামিবা ব্যাকটেরিয়া নাকের মধ্যে দিয়ে তার শরীরে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিগ্লেরিয়াফাউলেরি নামে এক অ্যামিবার কারণে এই সংক্রমণ শরীরে বাসা বাঁধে। একে ‘মস্তিষ্ক ভক্ষণকারী অ্যামিবা’ও বলা হয়। কারণ, এটি মস্তিষ্কে প্রবেশ করে সংক্রমণ ছড়ানোর পাশাপাশি ব্রেন টিস্যুকেও নষ্ট করে দেয়। এর জেরে মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধরণের সংক্রমণে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘাড়ে সমস্যা, বমি বমি ভাব, বমি, বিভ্রান্তি, চেতনা হারানো, খিঁচুনি, পেশির দুর্বলতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পরের দিকে তা আরও গুরুতর আকার ধারণ করে প্রাণঘাতীও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যামিবা হল থার্মোফিলিক। উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলে এই প্রাণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ১১৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় ভাল থাকে এই অ্যামিবারা। সে জন্য হট ওয়াটার লেক বা উষ্ণ প্রস্রবণগুলিতে এদের দেখা মেলে অনেক বেশি। ভারত তো বটেই আমেরিকাতেও অ্যামিবা সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর বৈজ্ঞানিক নাম নাইগ্লেরিয়া ফোলেরি। অ্যামিবা হল এককোষী প্রাণী। খালি চোখে দেখা যায় না এই প্রাণীকে।