সোশ্যাল মিডিয়ার উপর সর্বক্ষণ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলার পুলিশ প্রশাসনকে
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: গণপিটুনির ঘটনা এড়াতে পুলিশের কাছে আগাম খবর না-থাকা নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা। ফলে আগাম খবর পাওয়ার ক্ষেত্রে লোকাল ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনা রুখতে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি। এই কাজের জন্যেও পুলিশকে লোকাল ক্লাবের সহযোগিতা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগাম বা দ্রুত খবর পাওয়ার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিসকে আরও ভালো করে ব্যাবহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
পাশাপাশি গণপিটুনি রোধে কঠোর অবস্থান নিল নবান্ন। একইসঙ্গে ডাকাতি এবং বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রুখতেও তৎপর হল রাজ্য প্রশাসন। এজন্য রাজ্য প্রশাসনের তরফে প্রতিটি পুলিশ সুপার এবং কমিশনারকে ১২ দফা নির্দেশিকা পাঠানো হল। এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ ভর্মার এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ই-মেলের মারফত। তাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ফেক নিউজের কারণেই কিছু স্থানে গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটেছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর সর্বক্ষণ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলার পুলিশ প্রশাসনকে। নজরদারিতে যাদের ইন্ধন ধরা পড়বে গ্রেপ্তারসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।