কলকাতায় তৈরি হল রোবট কুকুর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট যৌথভাবে একটি ইনকিউবেশন সেন্টার বা রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি তৈরি করেছে। সেই আইইএমএ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডেই তৈরি হয়েছে এক অভিনব যন্ত্র। সারমেয় রোবট।
এতদিন ইউটিউবে এই ধরনের রোবট অনেকেই দেখেছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনীতে এমন রোবট রয়েছে দুর্গম এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সেনাদের কাছে খাবার এবং গোলাবারুদের মতো লজিস্টিক্যাল সাপ্লাইয়ের জন্য। অথচ এমন জটিল বা তার চেয়েও বেশি কার্যকরী একটি রোবট তৈরি করে ফেলেছেন কলকাতার একটি কলেজ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এতেই নিজেদের নতুন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে চরম উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
এই রোবটটি তৈরির পিছনে রয়েছেন অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়, সৌভিক চট্টোপাধ্যায় এবং অয়নকুমার পাঁজা। এই সৃজনশীল ত্রিমূর্তি ছাড়াও অন্যান্য সিনিয়র ছাত্র এবং শিক্ষকরাও তাঁদের মেধা এবং শ্রম দিয়েছেন এর জন্য। সৌভিকবাবু আগে এখানেই শিক্ষকতা করতেন। এখন পুরোদস্তুর নিয়োজিত গবেষণায়। তিনি বলেন, কলেজের পরিকাঠামোয় নিরন্তর গবেষণায় কিছুটা সীমাবদ্ধতা থাকে। তাই পৃথক ল্যাবটি তৈরি করা হয়েছে গ্লোবসিন বিল্ডিংয়ে। সেখানেই এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অভিনব গবেষণার কাজ চলছে। কী বিশেষত্ব এই রোবটের? এটা নিজে থেকেই হেঁটে চলে বেড়াতে পারবে। সামনে কোনও বাধা এলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে। কোনও প্রশ্ন করা হলে নিজে থেকে উত্তরও দিতে সক্ষম এই রোবট প্রোটোটাইপ। এটিকে নজরদারির কাজে, বয়স্কদের এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের সহায়ক হিসেবে, উদ্ধারকাজে তো ব্যবহার করা যাবেই, প্রয়োজনে আরও জটিল মিশনও সফলভাবে সম্পন্ন করার ক্ষমতা রয়েছে রোবটটির। সবচেয়ে বড় কথা, সুচারুভাবে কাজ করতে পারার পাশাপাশি, এটি সবদিক থেকে নিরাপদ বলেও দাবি করছেন উদ্ভাবকরা।