বায়ুদূষণে কলকাতায় মৃত্যুর হার ৭.৩, নয়াদিল্লিতে ১১.৫ শতাংশ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নয়াদিল্লিতে প্রতি বছর যত মানুষ মারা যাচ্ছেন, তার মধ্যে ১১.৫ শতাংশের মৃত্যু বায়ুদূষণের সঙ্গে যুক্ত। পিছিয়ে নেই কলকাতাও। শহরের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটি প্রায় ৪ হাজার ৭০০। শতাংশের দিক থেকে ৭.৩। ল্যানসেট প্ল্যানেটরি হেলথ সম্প্রতি বায়ুদূষণ সম্পর্কিত একটি নতুন সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছেন ভারত সহ বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষকরা। সেই সমীক্ষায় এরকমটাই দাবি করা হয়েছে।
এই সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেশের ১০টি শহরে বায়ুদূষণের জন্য প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ প্রতিবছর মারা যাচ্ছেন। এই শহরগুলি হল, আমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, নয়াদিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, মুম্বই, পুনে, সিমলা ও বারাণসী। সমীক্ষায় দাবি, স্বল্পমেয়াদি বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর হার বাড়ছে।
সমীক্ষাটি বলছে, এই সমস্ত শহরের বাতাসে ক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাত্ পিএম ২.৫ এর পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদ সীমা অতিক্রম করছে। এগুলিই ফুসফুস ও রক্তে সহজে প্রবেশ করে। ওই সংস্থার দাবি, এই ফলাফলের জন্য দশটি শহরের পিএম ২.৫ এক্সপোজারের হার সমীক্ষা করার সঙ্গে ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যার তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়ে ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক অরূপ হালদার বলেন, ‘নীতিতে পরিবর্তন না করলে সার্বিক বায়ুদূষণ রোধ করা যায় না। আমরা ঘরের দূষণ রোধ করতে পারি। যেমন, ঘরের মধ্যে ধূপ জ্বালানো, ধূমপান বন্ধ করা, গাছ লাগানো এগুলো করতে হবে। পাশাপাশি ঘরে যেন বাতাস চলাচল করে, রোদের আলো আসে, সেদিকটাও দেখা দরকার।’
প্রতিনিয়ত শহরে বায়ুদূষণ বৃদ্ধি নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করছেন পরিবেশকর্মীরা। এই বিষয়ে পরিবেশ কর্মী নব দত্ত বলেন, ‘এখানে নিয়ন্ত্রণবিহীন গাড়ি, নির্মাণকার্য চলছে। তার সঙ্গে আছে কয়লার জ্বালানি। নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ১৫ বছরের পুরনো যানবাহনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। সবটাই প্রকৃতির উপর ছেড়ে দিলে হয় না। শুধু গবেষণা করে সমাধান হবে না। কাজগুলো করতে হবে।’