বারুইপুরে ৩০০ বছরের প্রাচীন রথযাত্রায় মিষ্টির মেলা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন রায়চৌধুরীদের রথ। জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরীর হাত ধরে রথযাত্রার সূচনা হয়। বারুইপুরের জমিদার রায়চৌধুরীদের বাড়িতে হয়ে আসছে এই রথ। রথ উপলক্ষে এখানে বসে মেলা। প্রায় একমাস ধরে চলে এই রথের মেলা। পুরির রথের উৎসবে সামিল হতে পারতেন না তৎকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষজন। আর সেই কারণে তাঁদেরকে রথের আনন্দ দিতে জেলার অন্যতম জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরীর হাত ধরে রথযাত্রার সূচনা হয় বারুইপুরের জমিদার রায়চৌধুরীদের বাড়িতে। লর্ড কর্ণওয়ালসিসের আমলে জমিদারির পত্তন হয় রায় চৌধুরীদের। আর সেই থেকেই এখানে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ পালিত হয়। আর সবকিছুর মধ্যে অন্যতম রায়চৌধুরীদের এই রথ।
রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার পছন্দের মিষ্টি থাকে। ডালায় থাকে পাঁচ ধরনের মিষ্টি। পুজো দেওয়া হয় এই মিষ্টান্নের। দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসেন বিক্রি করার জন্য। কেনার জন্য ভিড় পড়ে যায় ক্রেতাদের। এই রথ উৎসবকে ঘিরে এক মাস ধরে মেলা বসে। মেলায় বিক্রি হয় ডালার মিষ্টি। রবিবার রাসমাঠে উৎসবের সূচনা করেন রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্য ও পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী ও অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরী।
অন্যদিকে বারুইপুরের পদ্মপুকুর ইয়ুথ ক্লাবের রথ উৎসব আট বছরে পা দিল। উৎসবের সূচনা করেন যাদবপুর লোকসভার সাংসদ সায়নী ঘোষ ও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্মপুকুর থেকে কালীতলা মোড় ঘুরে বিশালাক্ষীতলা মন্দিরে রথ আসে। সেখানে রাখা হয় দেবতাদের। রথ পরিক্রমায় অংশ নিয়ে সাংসদ এদিন নৃত্যগীতে তাল মেলান। পরিক্রমা দেখতে রাস্তার দু’ধারে মানুষের ভিড় জমে যায়। অন্যদিকে রাসমাঠে রথের পুজোর ডালাতে থাকে শাঁখের আদলের সন্দেশ, পেঁড়া, ছাপা সন্দেশ, কালাকাঁদ, ও সাধারণ সন্দেশ। গঙ্গাসাগরের মেলায় এই ডালার মিষ্টি নিয়ে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেন ভক্তরা। লক্ষ্মীকান্তপুর, মথুরাপুর, রায়দিঘি, জয়নগর থেকে মানুষ আসেন বিক্রি করতে।