রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য শান্তনু ঠাকুরের সই করা চিঠি নিয়ে BSF-র রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

July 9, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সই করা চিঠিই এখন সীমান্তে চোরা কারবারিদের ‘পারমিট’। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে বিজেপি। বিজেপি গরু রক্ষার পক্ষে, আর সেই গেরুয়া পার্টির টিকিটে জিতে মন্ত্রী হয়ে শান্তনু ঠাকুর কিনা গো মাংসের কারবার চালাতে ছাড়পত্র দিচ্ছেন। নিজের লেটার হেডে জনৈক জিয়ারুল গাজিকে বিনা বাধায় গো-মাংস কারবার চালানোর সুপারিশ করেছিলেন তিনি। অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যেতে বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্সের কর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর রাষ্ট্রমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, নড়েচড়ে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এহেন পারমিটে কীভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় ব্যবসায় ছাড় দেওয়া হয়?

বুধবার বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচন। তার আগে ইস্যু হাতে পেয়েছে তৃণমূল। শান্তনুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তারা। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এক্স হ্যান্ডলে শান্তনু ঠাকুরের সই করা সেই চিঠির ছবি পোস্ট করে অমিত শাহের মন্ত্রককে নিশানা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজের সরকারি লেটার হেডে পাচারকারীদের জন্য পাস ইস্যু করছেন। যাতে বিএসএফ ৩ কেজি গো-মাংস পারপার করার অনুমতি দেয়।

বনগাঁর বিজেপি সাংসদ রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জিয়ারুলকে পারমিট ইস্যুর বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, বিএসএফের মধ্যে কিছু অফিসার বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করছে। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, নিজের পদ ব্যবহার করেই শান্তনু ঠাকুর পাচারের মতো বেআইনি কাজকে মদত দিচ্ছেন। অভিযোগকে আরও ইন্ধন দিয়েছেন জিয়ারুল। রবিবার তিনি দাবি করেছিলেন, বাড়িতে গো-মাংস নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় সাংসদের পারমিট দিয়েছিলেন বিএসএফের হাতে। সোমবার তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অনুগামীরা জোর করে তাঁকে সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে বাধ্য করা হয় সাংবাদিকদের সামনে ওইসব কথা বলতে। পারমিট পেতে তাঁকে টাকা দিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন জিয়ারুল। স্বরূপনগরের হাকিমপুর এলাকায় শান্তনু ঠাকুরের নির্বাচনী এজেন্ট এভাবে পারমিট বিক্রি করে টাকা তোলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Trafficking, #Amit shah, #Shantanu thakur, #BSF, #investigation

আরো দেখুন