রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কেমন আছে শহরের বনস্পতিরা? গাছের হেলথ অডিট শুরু কলকাতায়

July 9, 2024 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ Get Bengal

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দীর্ঘকাল ধরে শহরকে সবুজ করে তুলেছে তারা, পথচারীদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে কিন্তু কেমন আছে সেই বনস্পতিরা? শহরে থাকা গাছের হেলথ অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে হেলথ অডিটের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টি তো আছেই, এছাড়াও একের পর এক গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনায় চিন্তিত কলকাতা পুরসভা। জানা গিয়েছে, রেমাল ঝড়ে শহরে প্রায় পাঁচশো গাছ ভেঙে পড়েছে। তারপর থেকে গত দেড় মাসে প্রায় ৩৫টি গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মাটি আলগা হয়ে বড় আকারের গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছেন বিভাগীয় আধিকারিকরা। পূর্ণবয়স্ক গাছ কেন গোড়া থেকে উপড়ে পড়ছে, পুরসভার উদ্ভিদবিদদের একটি দল তার খোঁজ করছে। অভীক মুখোপাধ্যায়, সর্বাণী রায় ও শুভপ্রসাদ ভট্টাচার্য তিন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন দলে। গাছের ট্রিমিং করা, বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা গাছ কেটে ফেলার ইত্যাদি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা। দলটি রিপোর্ট জমা করেছে।

জানা গিয়েছে, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়ার মতো বহু গাছ রয়েছে শহরে। এই জাতীয় গাছেদের মূল মাটির বেশি গভীরে প্রবেশ করে না। ঝড়-বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে ভেঙে পড়া বা উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। ঘনঘন এমন ঘটনা ঘটা উদ্বেগের। শহরের গাছগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলে আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। প্রয়োজনে গাছ কাটাও পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা প্রাণহানি এড়ানো যাবে। উল্লেখ্য, শহরের কোনও গাছ কেটে ফেলতে হলে বনদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। সরকারি জায়গায় থাকা গাছ বা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন গাছও অনুমতি নিয়ে কাটতে হয়। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়ার মতো গাছের বদলে দেবদারু, জারুল বা অন্য কোনও ফলের গাছ লাগানো হবে। যে ধরনের গাছের শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে মাটি শক্ত করে ধরে রাখতে পারে। সেগুলি সহজে মাটি আলগা হয়ে পড়ে যাবে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#trees, #KMC, #Plants, #Health audit, #greenery

আরো দেখুন