পিপিপি মডেলে বাস চালাবে রাজ্য, আয় বাড়বে পরিবহণ নিগমের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগস্ট থেকেই ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল হয়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমে যাবে। মানুষকে পরিষেবা দিতে পিপিপি মডেলে বেশ কিছু সরকারি বাস তথা রুটকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে পারে রাজ্য। সেক্ষেত্রে নিগমের আয় বাড়বে, পাশাপাশি পরিষেবাও দেওয়া হবে। প্রথম দফায় চার সরকারি রুটের প্রায় ৫৮টি বাস বেসরকারি হাতে চুক্তির মাধ্যমে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এমনটা হলে শহরে বাস সঠিক পরিমাণেই থাকবে।
হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্গাপুজোর আগেই বিভিন্ন রুটের দেড় হাজারের বেশি বাস–মিনিবাস বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি বাস মালিকদের দিয়ে সরকারি রুটে চালাতে পিপিপি মডেলকে কাজে লাগাচ্ছে পরিবহণ নিগম। প্রথম দফায় সি–২৬ (বারুইপুর–হাওড়া) রুটের ১৪টি, সি–৮ (বারাসত–জোকা) রুটের ১৬টি এবং এস–৪৭ (ইডেনসিটি হাওড়া) রুটের ১৮টি বাস ও ১১-এ রুটের ১০টি; সব মিলিয়ে প্রায় ৫৮ বাস তুলে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি হাতে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি রুটের বাস বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। মালিকরা নিজস্ব ভাড়ায় এই রুটে সরকারি বাসগুলি চালাবে। সেখানে নিজেদের কন্ডাক্টর ও চালক থাকবে।
তবে একটা শর্ত আছে, বাস মালিকদের পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের কাছে প্রত্যেকটি বাসের জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা ডিপোজিট রাখতে হবে। মাসে বাস পিছু ভাড়া দিতে হবে দশ হাজার টাকা। রাতে বাসগুলি সরকারি ডিপোতেই থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে পরিবহণ নিগমের নিজস্ব গ্যারাজেই তা মেরামত করা হবে। সেক্ষেত্রে সরকারি বাসগুলিও ব্যবহার হল, আবার ভাড়া বাড়াতে হল না। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, এতে পরিবহণ নিগমের লাভ হবে। কারণ অনেক চেষ্টা করেও বাস থেকে চুরি বন্ধ করা যাচ্ছিল না। বাস চালিয়ে তেলের খরচ উঠছিল না। একশ্রেণির চালক ও কন্ডাক্টর যোগসাজশ করে যাত্রীদের টিকিট না দিয়ে আদায় হওয়া ভাড়ার টাকা পকেটস্থ করে নিচ্ছিল। পিপিপি মডেলে গাড়ি চালালে কোনও খরচ না করে বাস পিছু মাসে নির্দিষ্ট টাকা নিগমের আয় হবে