নাইডু-নীতিশের আবদারে নাজেহাল BJP, জোট সরকারের হ্যাঁপা টের পাচ্ছেন মোদী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জোট সরকার চালানো যে সোজা নয় তা মনে হয় হাড়ে-মজ্জায় টের পাচ্ছেন মোদী। প্রায় এক দশক পর কেন্দ্রে জোট সরকার তৈরি হয়েছে। সরকার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে জোট ধর্ম পালন করতে হচ্ছে মোদীকে। কিন্তু মোদীর দুই প্রধান সঙ্গী যে হারে টাকার আবদার করছেন, তা দেখে মাথায় হাত বিজেপি নেতাদের। বিজেপির অনেক নেতাই একে কার্যত তোলাবাজি বলছেন।
একাধিক মন্ত্রীত্বর পাশাপাশি চন্দ্রবাবুর টিডিপির দাবি ছিল স্পিকারের পদ। নীতিশ কুমারের আবদার ছিল রেলমন্ত্রক। কিন্তু দুই দলেরই বড় বড় দাবির একটিও পূরণ হয়নি। ফলে আর্থিক দাবির চাপ বাড়ছে। বাজেট অধিবেশনের আগেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজের দাবি করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুও সুর তুলেছেন। তিনি আবার দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সুবিধার দাবি করেছেন। জানা যাচ্ছে, আগামী ৫-৬ বছরের জন্য তিনি ১২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি বিহার সরকারের এক প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কোন সরকারি তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। তবে সূত্রের খবর, বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্যাকেজের দাবিই জানানো হয়েছে। ২৩ তারিখ বাজেট ঘোষণা করবেন নির্মলা, তাতেই ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের আবদার করা হচ্ছে।
আর্থিক প্যাকেজেই রেহাই নেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত তুলে নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। বিহারের দাবী, শর্ত ছাড়া অতিরিক্ত ১ শতাংশ এবং অন্ধ্রর দাবি ০.৫ শতাংশ বেশি ঋণ শর্তহীনভাবে দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে ‘স্পেশাল স্টেট’-র তকমার দাবি তো রয়েইছে।
জোড়া চাপে মোদী! একদিকে সরকারকে টিকিয়ে রাখার চাপ, অন্যদিকে বাজেটের ঘাটতিতে লাগাম টানার দায়িত্ব। তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের পর প্রথম বাজেটের আগেই প্রবল চাপে মোদী এবং নির্মলা। গত অর্থবর্ষে যে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮.৮ শতাংশ, সেই ঘাটতিকে এবার ৭ শতাংশের নিচে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।
গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক বা স্পিকার পদ না দেওয়ার পরও যদি জোটসঙ্গীদের আর্থিক দাবি না-মেনে নেওয়া হয়; সেক্ষেত্রে কী হবে? বিজেপি হয়ত সরকার টিকিয়ে রাখাকে অগ্রাধিকার দেবে। বাজেটের আগেই চোটে চোখে সরষেফুল দেখছেন নির্মলা? প্রবল চাপে মোদীও? কারণ জোট টিকিয়ে রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।