কয়েক ঘণ্টা পরেই মরসুমের প্রথম ডার্বি, এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কয়েক ঘণ্টা পরেই মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি। কলকাতা লিগে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। কলকাতা লিগের এই ডার্বিতে থাকবেন না কোনও বিদেশি ফুটবলার। দু’দলেই বেশির ভাগ ভূমিপুত্র। সিনিয়র দলের কিছু ফুটবলার থাকলেও সংখ্যায় অনেক কম।
১৯৯৭ সালের ১৩ জুলাই। ফেডারেশন কাপের সেমি-ফাইনালে যুবভারতীতে লক্ষাধিক দর্শকের সামনে মুখোমুখি কলকাতার দুই প্রধান। অমল দত্তের ‘ডায়মন্ড’ সেদিন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। ৪-১ গোলে জেতে পিকে ব্যানার্জির দল। দীর্ঘ ২৭ বছর পর সেই একই দিনে ডার্বি। তবে এবার ফেড কাপ নয়, ঘরোয়া লিগের ম্যাচ। আর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে শনিবার ফেভারিট ইস্ট বেঙ্গলই।
৯২৫ সালে কলকাতা লিগের বড় ম্যাচে প্রথমবার একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুই প্রধান। সেদিন নেপাল চক্রবর্তীর গোলে গ্যালারিতে জ্বলেছিল মশাল। শনিবার সেই জয়ের পুনরাবৃত্তি চায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রথম দু’টি ম্যাচে জয় দিয়ে ঘরোয়া লিগ অভিযান শুরু করেছে বিনো জর্জের দল। এছাড়া রয়েছে টালিগঞ্জ অগ্রগামী ম্যাচে সাত গোল দেওয়ার আত্মবিশ্বাস। তেল খাওয়া মেশিনের মতো ছুটছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন জেসিন টিকে, আমন সিকেরা। বারপোস্টের নীচে আদিত্য পাত্র মাত্র একটি গোল হজম করেছেন। মহা ম্যাচের আগে যা বাড়তি অক্সিজেনের কাজ করছে লাল-হলুদ শিবিরে। এই দলের সেরা অস্ত্র সায়ন ব্যানার্জি। দুরন্ত গতি। অসাধারণ বল কন্ট্রোল এবং একবুক সাহস নিয়ে বিপক্ষকে বিপদে ফেলতে তিনি তৈরি। শেষ ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন আসানসোলের উইং-ব্যাক। তাঁর আইএসএলের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে মরিয়া থিঙ্কট্যাঙ্ক। সায়নের দৌড়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে নক-আউট করার তাল ঠুকছে ইস্ট বেঙ্গল।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কলকাতা লিগের মহারণে নামতে চলেছে মোহন বাগান। ২০১৪ সালে কাটসুমির ইউসার গোলে শেষবার এই লড়াই জিতেছিল গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। তার পর কলকাতা লিগের ডার্বিতে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার সুযোগ পায়নি সবুজ-মেরুন। এবারও সেই কাজটা যে বেশ কঠিন তা বিলক্ষণ জানে ম্যানেজমেন্ট। চলতি লিগে এখনও জয় অধরা মোহন বাগানের।