রেহাই নেই যন্ত্রেরও! কাজের চাপে আত্মহত্যা রোবটের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মঘাতী হয়েছে রোবট। দুনিয়া এতটাই যান্ত্রিক হয়ে উঠেছে যে যন্ত্রেরাও আর পাল্লা দিতে পারছে না। রোবট দিয়েই নানান নেই হচ্ছে পৃথিবীতে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই মানুষের বিকল্প হিসেবে উঠে আসতে শুরু করেছে রোবট। দক্ষিণ কোরিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়, সেখানকার বিভিন্ন হোটেল, মল, রেস্তোরাঁ এমনকি সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে রোবটের ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। মানুষের চেয়ে কত কম সময়ে রোবট বেশি কাজ করে দিতে পারে, ফলে তারা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। সে দেশের গুমি সিটি কাউন্সিলে সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত ছিল একটি রোবট। ‘রোবট সুপারভাইজার’ পদে কাজ করত সে।
গত ২৬ জুন বিকেলে রোবটটিকে এক বিল্ডিংয়ের সিঁড়ির কাছ থেকে চূর্ণ-বিচূর্ণ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুমি সিটি কাউন্সিল জানায়, রোবটের মৃত্যু হয়েছে। সাড়ে ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে রোবটটি। আত্মঘাতী হওয়ার আগে রোবটটি অদ্ভুত আচরণ করছিল বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই প্রথম কোনও রোবটের আত্মঘাতী হওয়ার খবর জানা গেল।
২০২৩ সালের আগস্টে চাকরিতে নিয়োগ করা হয় রোবটটিকে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সংস্থা তাকে তৈরি করে। জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত কাজ করতে হত তাকে। সিভিল সার্ভিস অফিসার হিসাবে আলাদা পরিচয়পত্রও ছিল তারা। নথিপত্র সরবরাহ থেকে তথ্য সংগ্রহ, ইত্যাদি কাজ করত সে। রোবটটি লিফট অপারেট করতে পারত। বিল্ডিংয়ের সর্বত্র দৌড়াদৌড়ি করতে হত তাকে।
কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরেই রোবটটি এমন পথ বেছে নিয়েছে বলে মত গবেষকদের। দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্য দেশে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আমেরিকাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ওয়াশিংটন হারবারের জর্জটাউন ওয়াটারফ্রন্ট শপিং অ্যান্ড অফিস কমপ্লেক্সে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে মোতায়েন ছিল একটি রোবট। সেও ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় বলে শোনা যায়।