কীভাবে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে শুরু হয়েছিল ডাকাতিয়া কালীর পুজো?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কালী পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কুখ্যাত ডাকাতদের নানান কাহিনি। উদয়নারায়ণপুরের রাজাপুর ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা জনৈক অমু সিংহ রায় ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ ডাকাত সর্দার। জনশ্রুতি রয়েছে, আজ থেকে প্রায় ৫৭১ বছর আগে তাঁর হাত ধরেই হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের ডাকাতিয়া কালীর পুজো শুরু হয়েছিল। গ্যাঁড়ার ডাঙায় জঙ্গলের মধ্যে উঁচু একটি মাটির ঢিবিতে মাতৃ আরাধনা আরম্ভ হয়। পরবর্তীতে বড় করে কালীর মূর্তি তৈরি করান অমু।
কালীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পুজো করার স্বপ্নাদেশ পান অমু। বাড়িতেই মায়ের পুজো শুরু হয়। ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে নিজে হাতে মায়ের পুজো করতেন তিনি। ডাকাতিয়া কালীকে ঘিরে রয়েছে নানান অলৌকিক ঘটনা। কথিত আছে, মায়ের পুজোর শাড়ি ১০ হাতের বদলে ৯ হাত হওয়ায় মা উগ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন। তৎক্ষণাৎ দীর্ঘ মাপের কাপড়ের জোগান দেওয়া হয়। মৃত্যুপথযাত্রী মানুষও প্রাণ ফিরে পেয়েছেন দেবীর কৃপায়, বাঁকা পাকে সোজা করে দেওয়ার মতো নানা ঈশ্বরের কৃপার কাহিনি আজও শোনা যায়।
পাশেই সিংটি গ্রাম। সেখানকার জমিদার ছিলেন গুহরা। চৌধুরী উপাধি পাওয়ার পর তাঁরা হন গুহচৌধুরী। এখন চৌধুরী পদবি ব্যবহার করেন তাঁরা। তাঁদের বাড়িতেও মা বিশালাক্ষীর পুজো হয়। চৌধুরীদের বাড়িতে কালীপুজো ও বলিদান সম্পন্ন হলে, তারপর সিংহরায় বাড়ির ডাকাতিয়া কালীর ঘট তোলা হয়। এমন রীতিই পালিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।