রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে চলেছে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দু’-একদিনের মধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। এই রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাকপুরের সাংসদ হওয়ার পর পরিষদীয় রীতি মেনে বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন পার্থ ভৌমিক। নৈহাটির বিধায়ক পার্থবাবু ছিলেন সেচ ও জলপথ দপ্তবের মন্ত্রী। তবে মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে সরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। রদবদলের এই পর্বে তাঁরই নির্দেশে খালি হবে সেচমন্ত্রীর পদ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পদে অভিজ্ঞ মানস ভুঁইয়ার নাম সর্বাধিক বিবেচনায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার আমলের কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্প রূপায়ণ সহ সেচ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে মানসবাবুর। এমনকী বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, যা রাজ্য নিজের কোষাগার থেকে খরচ করে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেক্ষেত্রেও মন্ত্রিসভার এই সহকর্মীর প্রতি আস্থা রেখেছেন মমতা। মন্ত্রীর পাশপাশি দলীয় সংগঠক হিসেবেও ‘সুনাম’ রয়েছে তাঁর। এসব মাথায় রেখেই সেচদপ্তরের জন্য আলোচিত হচ্ছে মানসবাবুর নাম।
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এই পর্বে উত্তরবঙ্গের এক ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দপ্তর রদবদলও প্রায় চূড়ান্ত। অচিরাচরিত শক্তির মতো দপ্তরের দায়িত্ব তিনি পেতে পারেন, এমনটাই চর্চায় রয়েছে। ওই দপ্তরের প্রধান সচিবও এদিনই বদল করেছেন মমতা। নবান্নের সূত্রটি জানিয়েছে, এই দু’জন ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতা থেকে নির্বাচিত (ভায়া বিজেপি) এক মন্ত্রীরও দপ্তর বদল হতে পারে। তাঁর জন্য অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প পুনর্গঠন দপ্তর দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
এঁরা ছাড়াও সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান কি না, সেটাও এখন চর্চায়। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাজভবন-নবান্ন সংঘাত পর্বে নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় নিতে হলে, তাঁকে শপথ নেওয়াবেন রাজ্যপাল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, যতদিন সি ভি আনন্দ বোস সেখানকার বাসিন্দা থাকবেন, ততদিন তিনি রাজভবনে যাবেন না। তার উপরে আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলা পরিস্থিতি আরও বিগড়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে রাজভবনে শপথ নেওয়াটা ‘স্বপ্নেও ভাবেন না’ তৃণমূলের কেউ। তাই এই মুহূর্তে নতুন কোনও মুখ মন্ত্রিসভায় না আসার সম্ভাবনাই প্রবল। বরং রাজ্যপালের বদলি ঘিরে যে চর্চা কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে রয়েছে, তা কার্যকর হলে তবেই নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় আনার কথা ভাবতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ছোটখাটো রদবদলের আগে সোমবার একঝাঁক শীর্ষ আমলার দপ্তর বদল সংক্রান্ত ফাইলে সই করেছেন মমতা।