ED, CBI নির্ভরতা নিয়ে সুকান্তর মন্তব্যে কী জবাব BJP কর্মীদের?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: একুশের ভরাডুবির পর বিবেকের ভূমিকা নিয়েছিলেন তথাগত রায় আর এবার সেই ভূমিকা কি সুকান্ত নিতে চাইছেন? চব্বিশে ভরাডুবির পর সম্প্রতি কর্মীসভায় ইডি-সিবিআই নির্ভরতা থেকে ছেড়ে সংগঠনকে মজবুত করার উপর জোর দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে দলের অন্দরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যকে ঘিরেই প্রশ্ন উঠছে। নির্বাচনের আগে একের পর এক সভায় সিবিআই-ইডির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতেন বিজেপি নেতারা। সুকান্ত নিজেও ব্যতিক্রম ছিলেন না। এমনকি প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতাদের সিবিআই-ইডি নিয়ে ভয় পর্যন্ত দেখানো হত। ভোটে ফল খারাপ হতেই এখন দায় কেন দলের কর্মীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে।
কর্মীদের সাফ জবাব, তিহাড় জেলে কে কে যাবে আপনারাই তো বলতেন। কারা কারা জেলে যাবে তার লম্বা তালিকা তুলে ধরতেন সুকান্ত মজুমদারই। মিটিং, মিছিলে বক্তব্যের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকত ইডি সিবিআইয়ের প্রসঙ্গ। নেতাদের কথায় বিশ্বাস করতেন অন্যান্যরা। কর্মীরা তাঁদের কথাতেই চলেন।
রবিবার হুগলির হিন্দমোটর ও পান্ডুয়ার কর্মীসভায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, মোদীজি এসে ম্যাজিক ছড়িয়ে দেবেন আর শ্রীরামপুরে জিতে যাবেন, এটা হবে না। অনেকেই বলেন দাদা সিবিআইকে বলুন ওকে অ্যারেস্ট করিয়ে দিতে। তাহলেই জয়। হবে না। অনেকে বলেন, ওকে জেলে ঢুকিয়ে দিলে জিতে যাবেন। তাও হবে না। দলকে শক্তিশালী করার কথা বলেন। তবেই জেতা সহজ হবে। সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল তো ছিলেন না। তিনি তো জেলে। বীরভূমে জিতেছে বিজেপি? সুকান্ত মনে করিয়ে দেন, পরিশ্রম করে যদি সংগঠন তৈরি হয় তবেই জয়। আর যদি সংগঠন তৈরি না-হয় তবে যাকে খুশি অ্যারেস্ট করুন কোনও দিন জেতা হবে না।
পান্ডুয়াতে সুকান্ত বলেন, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তবে তা বিরিয়ানির মশলার মতো। বিরিয়ানির চাল, মাংস দলের কর্মীদেরই হতে হবে। তবেই ভাল বিরিয়ানি হবে। দলের নীচুতলার কর্মীদের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী না-হলে ভোট করা সম্ভব নয় এটা তো বিজেপি নেতৃত্বরাই বলতেন। তবে কি হারের দায় ঝেরে ফেলতে চাইছেন সুকান্ত?