কতদূর এগোলো শহরের ফুটপাত উদ্ধারের কাজ? কী রিপোর্ট টাউন ভেন্ডিং কমিটির?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জবরদখলকারীদের গ্রাস থেকে শহরের ফুটপাত উদ্ধারের কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দখলদারি রুখতে পুরসভায় বিশেষ সুপারিশ জমা করল টাউন ভেন্ডিং কমিটি। জানা গিয়েছে, প্রস্তাবে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ৫৮টি মোড়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই মোড়গুলোতে কোনও হকারের ডালা বসতে না দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। মোড়গুলি থেকে ৫০ ফুটের মধ্যে কোনও হকার বসতে পারবে না। পুরসভা ও টাউন ভেন্ডিং কমিটি মোড়গুলির চারপাশে থাকা ফুটপাতগুলিকে নতুন করে সাজানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংগুলো নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষ ও টাউন ভেন্ডিং কমিটি। শহরের পাঁচটি এলাকায় অর্থাৎ নিউ মার্কেট, গ্র্যান্ড হোটেলের আশপাশ, গড়িয়াহাট, বেহালা ও হাতিবাগানে প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ হয়েছে। রিপোর্ট জমাও পড়েছে। এ সব এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার হকার পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওয়ার্ড এবং রাস্তার ভিত্তিতে হকারদের ভাগ করা হয়েছে। কোন হকার কী সামগ্রী নিয়ে বসেন, সে তালিকাও তৈরি হয়েছে। খাবার ও জামাকাপড়ের স্টলের জন্য আলাদা পরিমাপ ধার্য করা হবে। যে স্টলগুলো পুরসভার নির্ধারিত পরিমাপের থেকে অতিরিক্ত জায়গা নিয়ে রয়েছে, তাদের নিয়ম মানতে বাধ্য করা হবে।
রাস্তায় যে হকাররা ছিলেন তাঁদের সরানোর কাজ চলছে। নিউ মার্কেটে রাস্তার উপর যে হকাররা ছিলেন, তাঁদেরও সরানো হয়েছে। কোথায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে, তা টাউন ভেন্ডিং কমিটি ও মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা হাই পাওয়ার কমিটির কাছে যাবে। অনেক হকার নন ভেন্ডিং জোনেও রয়েছেন। সেই এলাকাগুলি ভেন্ডিং জোন করা হবে না-কি সরিয়ে দেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। দ্রুত দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষাও শুরু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।