‘বিকাশই হল না, নিজেকে ভগবান ভেবে নিলেন!’ কর্মী সভার মঞ্চ থেকে মোদীকে খোঁচা ভাগবতের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের গুমলায় একটি গ্রাম-বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মোহন ভাগবত। সেখানে উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা ইতিমধ্যে ‘ভাইরাল’ সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে সরসঙ্ঘচালককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কয়েকজন আছেন, যাঁরা মানুষ হলেও তাঁদের মধ্যে মানবিক গুণের অভাব রয়েছে। সেটা নিয়ে তাঁদের চিন্তাভাবনা করা উচিত।’ এরপরেই কিছু মানুষ যেভাবে নিজের উপরে ‘দেবত্ব’ আরোপ করে, সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন ভাগবত। বলেন, ‘কেউ কেউ প্রথমে নিজেকে অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন সুপারম্যান বা অতিমানব ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু সেখানেই তাঁরা থামেন না। এরপর দেবতা হতে চান, তারপর ভগবান। কিন্তু ভগবান বলেন, তিনি স্বয়ং বিশ্বরূপ। তার চেয়েও বড় কিছু আছে কি না, সেই বিষয়ে কেউ কিছু জানে না।’
মোহন ভাগবত আরও বলেন, ভাগবত আরও বলেন, একজন কর্মীকে মনে রাখতে হবে, অনেক কিছু করার পরেও তাঁর আরও কিছু করার আছে। উন্নয়ন হল এক ধারাবাহিক কাজ। আজ যাদের শিক্ষিত করার কাজ চলছে, কয়েকদিনে আবার নতুন প্রজন্ম চলে আসবে। কখনও ভাবলে চলবে না, আমি অনেক চারাগাছ পুঁতেছি, আরও চারা রোপণ করে যেতে হবে। তাঁর মতে, সনাতন ধর্ম হল মানবকল্যাণে ব্রতী।
বিজেপির মস্তিষ্ক সঙ্ঘপ্রধানের এই ভাষায় ভাষণের পরই দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস তাঁর বক্তব্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আচরণের সঙ্গে জুড়ে দিতে দেরি করেনি। দলের জনসংযোগ প্রধান তথা রাজ্যসভার সদস্য জয়রাম রমেশ সঙ্গে সঙ্গে এক এক্সবার্তায় ভাগবতের বক্তব্যের ভিডিও অংশটি জুড়ে মোদীকে টিপ্পনি কাটতে কসুর করেননি।
রমেশের মন্তব্য, আমি নিশ্চিত স্বঘোষিত ঈশ্বরপুত্র প্রধানমন্ত্রী নিশ্চই খবরটি এতক্ষণে পেয়ে গিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের মাটি থেকে নাগপুরের (আরএসএসের সদর কার্যালয়) অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যার অভীষ্ট লক্ষ্য লোককল্যাণ মার্গ (প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন)।