এখনও আগুন সবজি বাজারে, কোন দিকে বাজারের হাল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সবজির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে ৯ জুলাই বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ১০ দিনের মধ্যে দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। ১০ দিনের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার আগেই, খুচরো বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। বৃষ্টি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে আনাজের জোগান বেড়েছে। পাশাপাশি সরকারি নজরদারির কারণে দাম কমেছে বলেই মত কৃষি বিশেষজ্ঞদের।
কিছুটা কমলেও বাজারদর এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। খোলা বাজারে দাম এখনও বেশ চড়া। আলু, পেঁয়াজ-সহ কয়েকটি সবজির দাম কমেনি। টম্যাটো, লঙ্কার দাম এখনও চড়াই। পাইকারি বাজারে দাম যতটা কমেছে তার প্রতিফলন খুচরো বাজারে ততটা হয়নি। নবান্নের বৈঠকের আগে হিমঘর থেকে প্রতি কেজি জ্যোতি আলু বের হচ্ছিল ২৮-২৯ টাকা দরে। বর্তমানে তা ২৬ টাকায় নেমেছে। এখনও কলকাতার অনেক বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে।
মনে করা হচ্ছে, এক শ্রেণির পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরো বিক্রেতা বেশি লাভের আশায় অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। যার জেরে খুচরো বাজারে সবজির দাম যতটা কমা উচিত ছিল, তা হয়নি। টাস্ক ফোর্সের সদস্য ও এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকরা কলকাতার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালান। পাইকারি বাজারে দামের সঙ্গে খুচরো বাজারের দরের পার্থক্য যা হওয়া উচিত তার থেকে বেশি আছে বলে মানছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। জানা যাচ্ছে, টম্যাটো, বাঁধাকপি, বিনস, ক্যাপসিকাম প্রভৃতি সবজি পুরোটাই ভিন রাজ্য থেকে বেশি দামে আসছে, ফলে লাগাম পরানোর যাচ্ছে না। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ আইনে নির্দিষ্ট দামে কোনও বিক্রেতাকে সবজি বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা প্রশাসনের নেই। তবে, কেন্দ্র ইচ্ছে করলে মজুতের উর্ধ্বসীমা বেধে দিতে পারে।