রাজ্যে অ্যান্টিবায়োটিক কিছুটা হলেও পুরনো খেল দেখাতে শুরু করেছে, কমেছে ওষুধের রেজিস্ট্যান্স
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিভিন্ন রোগে দ্রুত আরামের রাস্তা দেখায় সে। আবার বিপত্তিও ডেকে আনে সেই সব অ্যান্টিবায়োটিকের নির্বিচার ব্যবহার। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই মুড়ি- মুড়কির মত অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অ্যান্টিবায়োটিকের এই লাগামছাড়া ব্যবহার রুখতে সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য। নির্দেশিকায় বলা হয়, অ্যান্টিবায়োটিক কখন, কোথায়, কীভাবে ব্যবহার হবে সব নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
গাইডলাইন তৈরি করে মারাত্মক বিপদ সম্পর্কে সচেতন করায় কিছুটা হলেও কাজ হয়েছে। জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচলিত ২৫টি অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে ১৫টি কিছুটা হলেও ফিরেছে পুরনো ফর্মে! কমেছে ওষুধের রেজিস্ট্যান্স। আগে ওই ১৫টি জীবনদায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে মিলত উল্লেখযোগ্য ফল। কিন্তু খোলামকুচির মতো সেসব ব্যবহার হওয়ায় ওই শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকগুলিকে দুর্বল ও নিস্তেজ করে ফেলেছিল মানুষ। কখনও হাসপাতালের ইন্ডোর-আউটডোরে যথেচ্ছ ব্যবহার হয়েছে। কখনও আবার মুড়িমুড়কির মতো বিক্রি হয়েছে ওষুধের দোকান থেকে। বিপদের ভয়, ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি সহ নানা কারণে ১৫টি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক জীবাণুযুদ্ধে কিছুটা হলেও পুরনো খেল দেখাতে শুরু করেছে। যা চিকিৎসকদের কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত করছে।
এই ১৫টি অ্যান্টিবায়োটিক হল জেন্টামাইসিন, নরফ্লক্সাসিন, লিভোফ্লক্সাসিন, নাইট্রোফুরানটয়েন, এরিথ্রোমাইসিন, টিজেসাইক্লিন, সেফুরক্সিম, সেফটাজিডিম, টাইকারসিলিন, অ্যামোক্সিসিলিন ক্ল্যাভিউলেনিক অ্যাসিড, অ্যাজট্রিওনাম, টিকারসিলিন ক্ল্যাভিউলেনিক অ্যাসিড, পলিমিক্সিন-বি, সেফট্রিয়াজোন ও সালব্যাকটাম। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, অপরিণামদর্শী ব্যবহারের ঠেলায় এই ১৫টি অ্যান্টিবায়োটিক ১০ থেকে ৮০ শতাংশ, কোনও কোনও হাসপাতালে তারও বেশি পরিমাণে রেজিস্ট্যান্স হয়ে গিয়েছিল। দরকারের সময়ই কাজই দিত না। বহুক্ষেত্রে রোগীকে সেপটিসেমিয়া বা মাল্টি অগার্ন ফেলিওরে চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখলেও, কিছুই করতে পারতেন না চিকিৎসকরা।