অধীর চৌধুরীকে রাজ্যসভায় আনতে চাইছেন মোদী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন ভোটে হারলে তিনি বাদাম বেচবেন। এমন অঘটন যে ঘটবে তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি সদ্য মুকুট হারারে বহরমপুরের তদানিন্তন বেতাজ বাদশা। তৃণমূল কংগ্রেসের ইউসুফ পাঠান অধীরগড়ে জোড়াফুল ফোটালেন। এবার কী করবেন অধীর?
রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশের অভিযোগ, পদ্মে পা বাড়িয়ে আছেন অধীর। নিন্দুকেরা বলেন, লোকসভার মধ্যে মোদীর যতই বিরোধিতা করুন তাঁর অধীর ‘দাদা’; মোদী, ওম বিড়লাদের সঙ্গে অধীরের সম্পর্ক বেশ ভালই। দিল্লির অলিন্দে শোনা যায়, নানান সরকারী কমিটিতে বিরোধী হিসাবে থাকা সত্ত্বেও বিরোধী মত পোষণ করেননি অধীর। কান পাতলে এও শোনা যায়, উনিশের লোকসভা ভোটের পর অধীরের বিজেপিতে যাওয়া আটকাতেই নাকি অধীরকে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা করেছিলেন সোনিয়া। বারবার অভিযোগ উঠেছে, অধীরের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত রয়েছে। বাংলায় ইন্ডিয়া জোট ভেস্তে যাওয়ার নেপথ্যে ছিলেন অধীর, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হতে দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেস সভাপতি খাড়গেও অধীরকে প্রকাশ্যে সমঝে দিয়েছেন। কংগ্রেস বিজেপি বিরোধিতায় মমতাকে পাশে চায়। অন্তরায় হয়ে উঠছিলেন অধীর, ফলে অধীররঞ্জনকে দলকে সরিয়ে দিতেও পিছপা হতে চায় না কংগ্রেস। হয়তো তেমন বার্তাও চলে গিয়েছে তাঁর কাছে। প্রদেশ সভাপতির পদেও বদল আসন্ন। অধীরের সামনে আর পথ খোলা নেই বলেই মনে হয়। ফলে তিনি হয়তো পদ্মেই যাবেন।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব এখন লোকসভার সাংসদ। মোদী বিপ্লবদেবের আসন থেকে অধীরে জিতিয়ে রাজ্যসভায় আনতে পারেন?