সবুজ-মেরুন জার্সি আর পালতোলা নৌকা বদলে দিল টোটোচালক অজয়ের জীবন, কীভাবে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তরপাড়ার ভদ্রকালীর বাসিন্দা অজয় পাশোয়ান টোটো চালান। রাতারাতি তাঁর টোটোচালক পরিচয় বদলে গিয়েছে। খোদ মোহনবাগান ক্লাব কর্তৃপক্ষ মোহনবাগানের বর্ষসেরা সমর্থকের শিরোপা তুলে দেবে তাঁকে। বদলে গিয়েছে তাঁর ছাপোষা জীবন। একাধিক ক্লাব ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠান থেকে মিলেছে সংবর্ধনা। তিনি এখনও ঘোরের মধ্যেই রয়েছেন।
চল্লিশ পেরনো অজয় পাশোয়ান ভদ্রকালী শিবতলার বাসিন্দা। মেয়ে, বউ নিয়ে সংসার। টোটোচালক অজয়ের একটাই নেশা। তা হল ফুটবল। ক্লাব মানেই মোহনবাগান। উত্তরপাড়ার মাঠে বড় কোনও ক্লাবের খেলা বা মোহনবাগানের কোনও বড় খেলোয়াড় আসার খবর পেলেই তাঁকে আর বাড়িতে ধরে রাখা যেত না। স্বপ্ন ছিল ফুটবল খেলবেন। স্বপ্ন পূরণ হয়নি অভাবের তাড়নায়। ফুটবল ও মোহনবাগানকে ভালবাসায় কোনও কমতি হয়নি।
২০০৬ সাল থেকে সবুজ-মেরুন জার্সি বা পতাকা নিয়ে কলকাতার ময়দানে যাচ্ছেন অজয়, মাথায় কাঠের তৈরি পালতোলা নৌকা। সংসার বেড়েছে, টাকাপয়সার টানাটানি তো আছেই কিন্তু ভালবাসা কমেনি। এখন আর সব দিন খেলার মাঠে যেতে পারেন না। বড় ম্যাচের দিন সংসার খরচের টাকা বাঁচিয়ে মাঠে যান। শেষ বাঁশি বাজার আগে পর্যন্ত খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন। পাশাপাশি উত্তরপাড়ার ভূমিপুত্র প্রাক্তন ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়কে এবার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেবে মোহনবাগান। আগামী ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে সমস্ত পুরস্কার প্রাপকদের সম্মানিত করা হবে।