টার্গেট ২৭২! ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে অপারেশন লোটাসের প্রস্তুতি শুরু BJP-র?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জোট বাঁচানোর দায় আর শক্তিশালী বিরোধীর জোড়া চাপে পড়েছেন মোদী অ্যান্ড কোম্পানি! সবথেকে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজেকে প্রচার করে এসেছেন মোদী, এবারের ভোটের ফলে তিনি দুর্বলতম। শরিকদের তুষ্ট করতে করতেই দিন কাটছে। আর সইতে পারছে না বিজেপি। পরিত্রাণের পথ বলতে অপারেশন লোটাস। ফের এবার আস্তিন থেকে পুরনো অস্ত্র বার করতে চলেছেন শাহ-নাড্ডারা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-পেলে যে অভিশাপ থেকে মুক্তি নেই! ২৪০ থেকে ২৭২-এ পৌঁছতেই হবে। চাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
টার্গেট বেঁধে ফেলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতারা, বেছে নেওয়া হয়েছে উৎসবের মরশুম। নবরাত্রি, পুজো, দীপাবলি, উৎসবের মরশুমের মধ্যেই গরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলতে মরিয়া বিজেপি। বিজেপি একক সংখ্যাগুরু হতে পারলেই বিরোধীদের দাপট, কটাক্ষ এবং জোট শরিকদের চাপ বন্ধ হবে। উপায় বলতে অপারেশন লোটাস! তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে।
জোট-জ্বালা সহ্য করতে অভ্যস্ত নয় মোদী বাহিনী। অন্ধ্র-বিহারকে কেন্দ্রীয় বাজেটে ঢালাও উপঢৌকন দেওয়া নিয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বেড়েছে। মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অখিলেশ যাদব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা কার্যত বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন। কমবেশি সবারই এক কথা, দুই শরিককে খুশি করে সরকারের আয়ু কয়েকদিন বাড়ল। কেন্দ্রে এনডিএ’র পতন সময়ের অপেক্ষা। ফলে মোদী ম্যাজিক ফিগার পেতে মরিয়া! জানা যাচ্ছে, কিছু জোট শরিককে দলে মিশিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হবে। পাশাপাশি বিরোধীদের ঘরেও না-কি হানা দেওয়ার নকশা তৈরি হচ্ছে। কর্ণাটকের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া বিহার, মহারাষ্ট্র এমনকী তামিলনাড়ুতেও পদ্ম পার্টি অপারেশন চালাবে।
অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও বাজেটে বিহার আর অন্ধ্রের উপহার প্রাপ্তিতে ক্ষুব্ধ। করোনা পরবর্তী সময়ে যেখানে দেশের সব রাজ্যই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে, সেখানে বেছে বেছে দুই রাজ্যকে বাড়তি সুযোগ কেন? প্রশ্ন সব মহলেই।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া বনাম উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের মধ্যে গদির লড়াই নাকি আরও বাড়ছে। সেই কারণেই বিজেপি কর্ণাটককে টার্গেট করেছে। সে’রাজ্যে সক্রিয় হয়ে উঠছে বিজেপি। লক্ষ্য, কংগ্রেসের ঘরে হানা দেওয়া। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে একনাথ সিন্দের দলের কয়েকজন সাংসদ নাকি নিজেরাই বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছে। ২০১৯ সালে যে রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস শূন্য ছিল, বেছে বেছে সেই রাজ্যগুলিতেই কংগ্রেসকে শূন্য করার লক্ষ্য বিজেপির। বিজেপির ছক কংগ্রেসে ভাঙনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। তাতে হয়ত ‘ইন্ডিয়া’র শক্তিক্ষয় হবে। কিন্তু তাতেই কি ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যাওয়া যাবে?