স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

লিকার না-কি দুধ-চা কোনটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল?

July 26, 2024 | 2 min read

লিকার না-কি দুধ-চা কোনটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উপমহাদেশে জলের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হল চা। চায়ের নেশাও কিন্তু খাসা নেশা। সকাল-সন্ধ্যায় চা না-পেলে মাথা ধরবে, মেজাজ গরম হবে, কাজে মন বসবে না। চা কি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর?

চা পান শরীরের পক্ষে ভাল তখনই, যখন চা পান হবে পরিমিত। এক কাপ চায়ে থাকে ৩০ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন, ট্যানিক অ্যাসিড থাকে ৬০ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ০.৯ গ্রাম, ফ্যাট ১.১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৬.৪ গ্রাম। বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যালকালয়েড, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থাকে।ভিটামিন এ, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি, সি, ই থাকে। চা উপকার করে, তবে পরিমিত পরিমাণে চা পান করলেই উপকার পাওয়া সম্ভব। সারাদিনে বড় কাপের তিন থেকে চার কাপ অর্থাৎ প্রায় ৫০০ মিলিলিটারের মতো চা পান করলে ঠিক আছে। কিন্তু অতিরিক্ত চা পান শরীরে বিপদ ডেকে আনে। দেশে অতিরিক্তমাত্রায় ক্যাফিনের প্রবেশ করে। যার ফলে রক্তে কোলেস্টেরল সুগার, প্রেশার বাড়তে পারে। ঘা দেখা দিতে পারে পাকস্থলীতে, খিদে ও ঘুম কমতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা বারে বারে চা এবং ব্ল্যাক কফি পান করলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। অনেকক্ষণ ধরে চা ফুটিয়ে যে নির্যাস পাওয়া যায় তা শরীরের পক্ষে বেশি ক্ষতিকারক। এতে ক্যাফিন এবং ট্যানিন খুব বেশি পরিমাণে এসে মেশে। তাই লিকার চা শরীরের পক্ষে ভাল নয়।

লেবু চা, লিকার চা থেকে কিছুটা ভাল। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে চায়ের ট্যানিন বিক্রিয়া করে কাপের তলায় থিতিয়ে পড়ে। দুধ-চিনি-সহ তৈরি চা তুলনামূলকভাবে ভাল। এতে নানান ক্ষতিকর পদার্থ কাপের তলায় থিতিয়ে পড়ে, চায়ে কিছুটা পুষ্টিমূল্যও যোগ হয়। কিন্তু দুধের ফ্যাট এবং চিনি হাই কোলেস্টেরল এবং হাই সুগারের রোগীদের জন্য বিপদ ডেকে আনে। চিনি ছাড়া অল্প দুধের চা খারাপ নয় নয়। সামান্য চিনি যুক্ত অল্প গরম চা শরীরের পক্ষে ভাল, যদিও দিনে ৩-৪ কাপের বেশি নয়। যাদের ব্লাড সুগার নেই, তাদের ভয় কম।

খালি পেটে খুব গরম চা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। মুখের ভেতর এবং পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেনের ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য চায়ের সঙ্গে বিস্কুট বা অন্য কিছু খেতে বলা হয়। পুষ্টিবিদরা বলেন, চায়ের সঙ্গে কিছু খেলে নাকি দেহে আয়রন শোষণে বাধা দেয়, চা শুধু খাওয়াই নাকি ভাল।

গ্রিন টি-র এখন খুব সুনাম। চা পাতা স্টিমিং করে বা শুকিয়ে গ্রিন টি তৈরি হয়। অন্য চায়ের মতো এখানে অক্সিডেশন এবং ফার্মেন্টেশন প্রসেসিং করা হয় না, এর রং সবুজ থাকে। গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। গ্রিন টি পান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কোলেস্টেরল কমাতে, স্ট্রোক আটকাতে, ডায়াবেটিস কমাতে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে, শরীরের ওজন কমাতে গ্রিন টির কোনও বিকল্প নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Health, #healthylifestyle, #health and fitness, #Liquor tea, #Milk tea

আরো দেখুন