দেশ বিভাগে ফিরে যান

দেশের ইতিহাসে প্রথম থমকে গেল জনগণনা, দশ কোটি গরীব খাবার পাওয়া থেকে বঞ্চিত

July 27, 2024 | 2 min read

——ছবি সৌজন্যে: Getty

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনার রেওয়াজ আছে দেশে। কিন্তু ২০১১ সালের পরে প্রায় চোদ্দ বছর পেরিয়ে গেলেও, এখনও জনগণনার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে পারেনি ভারত। কথা ছিল, ২০২৪ লোকসভা ভোটের পরে এই ব্যাপারে এগনো যাবে। কিন্তু এবারের বাজেটে অন্তত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে এই বছরেও জনগণনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

ভারতে জনগণনার কাজ আটকে যাওয়ার ইতিহাস বিরল। শুরু ১৮৮১ সালে। তারপর থেকে নিয়ম করে প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনা হয়েছে। অন্তত ১৫০ বছরের ইতিহাসে কখনও জনগণনা বন্ধ থাকেনি। এই প্রথম তা প্রায় অর্ধদশক পিছিয়ে গেল। অনেকে আঙুল তুলছেন, সিএএ, এনআরসি, এনপিআর বিতর্কেই জনগণনা নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত সতর্ক হতে চাইছে মোদি সরকার। জনগণনার আগে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের কাজ সেরে ফেলতে হবে। কিন্ত্ত ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ নিয়ে সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। এনপিআরের কাজ থমকে যায়।

অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ একটি সর্বভারতীয় ওয়েব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১১ জনগণনা অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যা ১২১ কোটি। যার মধ্যে ৮০ কোটি মানুষ খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় খাদ্য পায়। কিন্তু এখন যা মনে হচ্ছে, জনসংখ্যা প্রায় ১৩৭ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মানে প্রায় দশ কোটি গরীব মানুষ কিন্তু এই আইনের আওতায় খাবার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

জনগণনা না হওয়ায় যে ‘নীতিনির্ধানের’ কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে তা মনে করিয়ে অর্থবিষয়ক সচিব অজয় শেঠ বলেছেন, ‘নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণনা অত্যন্ত জরুরি। যখনই এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটা জনসমক্ষেই নেওয়া হবে এবং তার জন্য দরকারি অর্থও বরাদ্দ করা হবে। আপনাদের ব্যাপারটা বুঝতে হবে। আমরা খরচ অনুমান করে তো বাজেটে বরাদ্দ করি না। যে ডিপার্টমেন্ট কোনও কাজ করতে চায়, তারা সেটা জানায় এবং সেইমত বরাদ্দ করা হয়।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #Census Update

আরো দেখুন