সুকান্তর বঞ্চনার দাবি অযৌক্তিক, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে ১২ বছরে ৭,৫০০ কোটি বরাদ্দ করেছে রাজ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মিল বেশি। এই আবহে যদি উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়, তাহলে উন্নয়নের জন্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের বরাদ্দ অর্থ জুটবে উত্তরবঙ্গের ভাগ্যেও। এতে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে দাবি বিজেপি নেতার।
কিন্তু রাজ্যের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে গেরুয়া শিবিরের এই অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক দপ্তর তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত ১২ বছরে রাজ্যের কোষাগার থেকে এই দপ্তরের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এছাড়া পূর্ত, সেচ, সমাজকল্যাণ সহ অন্যান্য দপ্তর রাজ্যজুড়ে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে, তার সুফলও পেয়েছে উত্তরবঙ্গ।
২০১০ সালের আগে উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে বাজেট বরাদ্দ করত তৎকালীন বাম সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবর্ষে অর্থাৎ বাম সরকারের শেষ বাজেটে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল মাত্র ৫৯ কোটি টাকা। নতুন সরকারে পৃথক দপ্তর তৈরি হওয়ার পর ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন খাতে। এরপর বছর বছর উত্তরবঙ্গের জন্য বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দ হয়েছে ৮৬১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।