টার্গেট বংশবৃদ্ধি, আলিপুরে ঘর বাঁধবে নন্দনকাননের কন্যে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আলিপুরে চিড়িয়াখানায় বাঘেদের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কর্তৃপক্ষ। বার্ধক্যের জেরে আটকে
বংশবিস্তার। তাই নন্দনকানন থেকে আসছে বাঘিনি ‘ত্রুপ্তি’। কেন্দ্রীয় জু অথরিটির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাজ্য জু অথরিটি। সবুজ সংকেত মিললেই নন্দনকাননের কন্যা সংসার পাতবে আলিপুরে।
২০০৬ সালে বাঘিনি ‘কৃষ্ণা’ আর সাদা বাঘ ‘অনির্বাণে’র ঘরে এসেছিল ‘বিশাল’। কিন্তু তারপর থেকে বাঘের পরিবারে আর সুখবর শোনা যায়নি। তরুণ ‘স্নেহাশিস’ আলিপুরে ‘পায়েল’ ও সাদা বাঘিনি ‘রূপা’র সঙ্গে নতুন করে সংসার পাতে। কিন্তু নয়া সদস্যের আগমন ঘটেনি।
২০১৯ সালে পাটনা থেকে ‘রূপা’র জন্য একটি সাদা বাঘ ‘রাজা’কে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু কোল আলো করে কেউ আসেনি। প্রায় ১৮ বছর ধরে আলিপুরে ব্যাঘ্র পরিবার নিঃসন্তান। ‘রূপা’ বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছে। ‘পায়েলে’র বয়স হয়েছে। রয়্যাল বেঙ্গল ‘রাজা’ও এখন বুড়ো বাঘ। এদের দিয়ে আর বংশবিস্তার হবে না। গত মার্চে বেঙ্গল সাফারি থেকে ‘শীলা’ ও ‘বিভানে’র এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আসা হয় আলিপুরে। এপ্রিলে বিশাখাপত্তনমের ইন্দিরা গান্ধী জুলজিক্যাল পার্ক থেকে একটি সাদা বাঘিনি নিয়ে আসা হয়।
জানা গিয়েছে, নন্দনকানন থেকে আরও একটি বাঘিনি নিয়ে আসার কথা রয়েছে। বিনিময়ে আলিপুর থেকে জিরাফ পাঠানো হবে। এখন কেবল কেন্দ্রীয় জু অথরিটির ছাড়পত্রের অপেক্ষা। আদপে বাইরে থেকে বাঘ নিয়ে এসে প্রজননে জোর দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরই তিনটি বাঘ এসেছে। প্রজননের পাশাপাশি জিনগত বৈচিত্রে গুরুত্ব দিতে বাঘ বিনিময়ের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে রাজ্য বন দপ্তর।