রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাহুলের কপালে এবার শিঁকে ছিড়তে চলেছে! যেতে পারেন রাজ্যসভায়

July 30, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সুকুমার রায় তাঁর ‘সৎপাত্র’ সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘উনিশটি বার ম্যাট্রিকে সে, ঘায়েল হয়ে থামল শেষে।’ সেই বলায় ব্যঙ্গ ছিল। কিন্তু মোট ন’বার ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে-যাওয়া রাহুল সিংহকে নিয়ে শ্রদ্ধাই প্রকাশ করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। সমালোচনা যে একেবারে নেই, তা-ও নয়। অনেকেই বলেন, দু’বার রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। সর্বভারতীয় দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু ভোটে জিততে পারেননি কখনও। যদিও রাহুল নিজে এমন সমালোচকদের ‘মূর্খ’ এবং ‘ভণ্ড’ মনে করেন।

এ হেন রাহুলের কপালে যেন এবার রাজযোগ দেখা যাচ্ছে! বিজেপির শীর্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক দিন পর শেষমেশ রাহুলের কপালে এবার শিঁকে ছিড়তে পারে। সূত্রের খবর, রাহুল সিনহার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে রাজ্যসভার সদস্য করার জন্য। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার আসন ফের খালি হবে ২০২৬ সালের ২ এপ্রিল। তখন সুব্রত বক্সী, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, জহর সরকার ও মৌসম নূরের মেয়াদ শেষ হবে। সিপিএম আর তখন কোনও আসন পাবে না। বরং সেটা বিজেপিই পাবে। তবে রাহুলকে সম্ভবত ততদিন অপেক্ষা করাবে না বিজেপি। রাজ্যসভায় রাহুলকে সিনহাকে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য করা হতে পারে। ঠিক যেমন, একদা অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় মনোনীত সদস্য করা হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্তমানে রাজ্যসভায় বিজেপির দু’জন সাংসদ রয়েছেন। গত বছর অগস্ট মাসে কোচবিহারের নেতা অনন্ত মহারাজ তথা নগেন্দ্র রায়কে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করেছিল বিজেপি। আর এ বছর বিজেপি রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে। তবে অনন্তকে রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী করায় দলের মধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতাদের কেন বেছে নেওয়া হল না। যাঁরা দুর্দিনে দলের কাজ করেছেন, তাঁদেরই সেই সুযোগ পাওনা ছিল। সম্ভবত সেই ভুল শুধরে নিতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। রাহুলের ভাগ্যে জুটতে পারে রাজ্যসভার আসন। তবে হ্যাঁ, রাজনীতিতে না আঁচানো পর্যন্ত বিশ্বাস নেই।

১৯৮০ সালে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিজেপির জন্ম। সেই সময়েই ১৯৬৩ সালে জন্ম নেওয়া রাহুল বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স ১৭। আরএসএসের নিয়মিত স্বয়ংসেবক রাহুল বাংলায় বিজেপির গোড়ার সময় থেকে টানা ৪৪ বছর দলের সঙ্গে রয়েছেন। এখন তাঁর উপরে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় কোনও দায়িত্ব নেই। কিন্তু তাতে দলের রাজ্য দপ্তরে তাঁর উপস্থিতিতে খামতি নেই। মধ্য কলকাতার মুরলীধর সেন লেন থেকে রাজ্য দফতর সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে চলে গেলেও নিয়ম করে হাজিরা দেন তিনি। সেটাও আবার নির্ধারিত সময়ে। পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘আমি বরাবর সময়ানুবর্তিতায় জোর দিই। দলের কাজে আরও বেশি করে। এক বার সভা করতে জেলায় গিয়ে দেখি, তখনও মঞ্চ বাঁধা চলছে। নেতাদের সে কী লজ্জা! তাঁরা ভাবতেই পারেননি, ঘড়ি ধরে কোনও নেতা সভায় চলে আসবেন। এখনও সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি।’’ এখন দেখার সত্যিই ‘নিষ্ঠাবান’ রাহুলের ভাগ্য এবার খোলে কি না!

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #politics, #Rahul Sinha, #Rajyasabha, #West Bengal

আরো দেখুন