আদালতের নির্দেশে বাতিল হচ্ছে বহু বাস, চিন্তায় মালিকপক্ষ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি বা বাস চালানো যাবে না। সেই নির্দেশ মেনেই আগামী ১ অগস্ট থেকে বাতিল হতে চলেছে কয়েক হাজার পুরনো বাস। তবে করোনাকালে বিধিনিষেধ থাকার ফলে প্রায় দু’বছর বন্ধ ছিল বেসরকারি বাস। এই অবস্থায় আরও দু’বছর এই সমস্ত বাসের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পরিবহণ দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বাস মালিকরা। কিন্তু, পরিবহণ দপ্তরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যেহেতু আদালতের নির্দেশ রয়েছে তাই কোনওভাবেই বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি তাদের পক্ষ থেকে মানা সম্ভব নয়।
২০২৪ সালের ৩১ জুলাই তারিখের মধ্যে ১৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া বাসগুলি বন্ধ করে দিতে হবে, রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সংসারে টান পড়ার আশঙ্কার প্রহর গুনতে শুরু করেছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাসিশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘আদালতের নির্দেশে ১৫ বছরের উপরে গাড়ি চলা নিষিদ্ধ আছে। সেগুলিকে স্ক্র্যাপ করতে হয়। ২০০৯ সালে যতগুলি বাস রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল, ঠিক ততগুলো গাড়ি বাতিল করা হবে। সেই সংখ্যাটা হাজার হাজার নয়।’
এবার এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। জানা গিয়েছে, জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গণপরিবহণ বাঁচাও কমিটি’। এই কমিটির তরফে এই সমস্ত বাসের মেয়াদ আরও দুবছর বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু এই সমস্ত বাস করোনার সময় দুবছর বসে গিয়েছিল তাই আরও দুবছর বাসের মেয়াদ বাড়ানো হোক। কারণ মোটা টাকা দিয়ে বাস কিনে রাস্তায় নামানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তাছাড়াও দুবছর বাস না চলায় তারা আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। অনেক বাস মালিকরা যদি তাদের ১৫ বছরের পুরানো যানবাহন বাতিল হয়ে যায় তবে তারা সংকটে পড়বেন। কারণ তাদের কাছে নতুন বি এস ৬ ইঞ্জিনের বাস কেনার ক্ষমতা নেই।