জানেন কি মা ভবতারিণীর আরও দুই বোন আছেন এই কলকাতাতেই?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৮৫৫ সালে গঙ্গাতীরে রানি রাসমণি গড়ে তোলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দির। পূজিতা হন মা ভবতারিণী। মন্দিরের প্রতিমা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন আপার চিৎপুর রোডের ‘ওরিয়েন্টাল স্টোন ওয়ার্কস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। ১৯ বছর বয়সী নবীন ভাস্কর প্রতিমা গড়ে তোলেন। নবীন ভাস্করের তৈরি প্রথম দুটি প্রতিমা বাতিল হয়ে যায় উচ্চতার কারণে! তৃতীয় প্রতিমাটি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের গর্ভ গৃহে আজও বিরাজ করছেন।
নবীন ভাস্কর নির্মিত তিনটি প্রতিমা কষ্টিপাথর খোদাই করে বানানো হয়েছিল। কষ্টিপাথর আনা হয়েছিল পশ্চিম জামালপুর থেকে। প্রসঙ্গত, বর্ধমানের মহারাজের পাথরের খাদান ছিল জামালপুরে। প্রথম যে দুটি মূর্তি বাতিল হয়ে গিয়েছিল, সেই দুটি মূর্তি আজও নিত্য পূজিতা।
প্রথম মূর্তিটি দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠার দু’বছর আগে, ১৮৫৩ সালে বরাহনগরে; ২২৫ নম্বর প্রামানিক ঘাট রোডে, রামগোপাল দে এবং দূর্গাপ্রসাদ দে কতৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বয়ং রামকৃষ্ণ দেব এখানকার প্রতিমাকে ‘মেজো মাসি’ বলে ডাকতেন। এই প্রতিমা আনন্দময়ী মা নামে খ্যাত। কালীবাড়ি আনন্দময়ী কালীবাড়ি হিসাবো প্রসিদ্ধ।
দ্বিতীয় মূর্তিটি রয়েছে, উত্তর কলকাতার বৃন্দাবন বোস লেনে শিবচরণ গোহো প্রতিষ্ঠিত গোয়াবাগান রোডের কালীমন্দিরে। নিস্তারিণী কালীমন্দির নামেও পরিচিত মন্দিরটি।