উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

তিস্তা চুক্তি ইস্যুতে বিপাকে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতারা

August 3, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। গরমকালে তা শুকিয়ে যায়। সেখানে তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিলে উত্তরবঙ্গের মানুষ পানীয় জল পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞরাও এরকমটাই মনে করছেন। শুধু তাই নয়, এই চুক্তি রূপায়িত হলে উত্তরবঙ্গের সমূহ বিপদ। তা ভালোই বুঝতে পারছেন পদ্ম শিবিরের নেতারাও।

তবে সব জেনেও তাঁরা মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন বিজেপি নেতারা। কারণ এটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। যদিও তাঁরা মুখে বলছেন, কেন্দ্র নিশ্চয়ই এমন কোনও ব্যবস্থা করবে, যাতে উত্তরবঙ্গের লাভই হবে। উত্তরবঙ্গের প্রধান নদীগুলির মধ্যে তিস্তা অন্যতম। এই নদীর জল বণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করতে তৎপর দিল্লির সরকার। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ব্যাপার বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যা নিয়ে উভয় সঙ্কটে পদ্ম শিবিরের স্থানীয় নেতারা।

বিজেপির উত্তরবঙ্গের কনভেনার তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি নিয়ে উত্তরবঙ্গবাসীর ক্ষতি না করে যা করা উচিত, তাই করবে কেন্দ্র। কি করবে জানি না। নদী কমিশনে যাঁরা আছেন তাঁরা বলতে পারবেন। চুক্তি হলে উত্তরবঙ্গের ক্ষতি হবে না বলেই মানুষকে আশ্বস্ত করছি।’ বিজেপির মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক অনন্দময় বর্মন বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি আন্তর্জাতিক বিষয়। এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের স্বার্থরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে কেন্দ্র।’

পদ্ম শিবিরের নেতারা যাই বলুন না কেন তিস্তা চুক্তির আগে সংশ্লিষ্ট নদীকে বাঁচানোর দাবিতে সরব উত্তরবঙ্গ। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিরোধী সিপিএম সকলেই নদীর নাব্যতা বাড়ানো এবং উত্তরবঙ্গের স্বার্থরক্ষার দাবি তুলেছে। ইতিমধ্যে কোচবিহার, ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পশ্চিমবঙ্গ কিষান খেতমজদুর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। তারা কৃষকদের মতামত নথিভুক্ত করেছে। সংগঠনের উত্তরবঙ্গের যুগ্ম আহ্বায়ক তথা জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, ‘শুখা মরশুমে তিস্তা নদীতে জল থাকে না বললেই চলে। সেসময় উত্তরবঙ্গে চাষের জমিতে সেচের জলের জোগান দেওয়া সম্ভব হয় না। কাজেই নিজেদের চাহিদা না মিটিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে তিস্তার জল দেওয়া যাবে না। এনিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা অসন্তুষ্ট। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে তিস্তায় উদ্বৃত্ত জলের ব্যবস্থা করতে হবে। না করে ওই চুক্তি হলে জোরদার আন্দোলন হবে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Tista

আরো দেখুন