একদিকে চিতাবাঘ অন্যদিকে হাতির আক্রমণ, দিশাহারা বামনডাঙা চা বাগানের শ্রমিকদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একদিকে চিতাবাঘ অন্যদিকে হাতির আক্রমণে দিশাহারা অবস্থা নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানের শ্রমিকদের। গত এক সপ্তাহে নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানে চিতাবাঘ খুবলে খেয়েছে ৩০টি ছাগল, ২২টি গোরু। আতঙ্ক এতটাই জাঁকিয়ে বসেছে যে পাতা তোলার আগে শ্রমিকরা পটকা ফাটিয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই কাজে নামছেন। অন্যদিকে, এই চা বাগানে গত বৃহস্পতিবার রাতে হাতির হামলায় দু’টি দোকান সহ সাতটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই এই চা বাগানের ৬ নম্বর সেকশনে বনদপ্তরের পেতে রাখা খাঁচায় একটি চিতাবাঘ ধরা পড়ে। কিন্তু তার পরদিন থেকেই আরও বেশি করে শুরু হয়ে যায় চিতাবাঘের অত্যাচার। ছাগল, গোরু তুলে নেওয়ার পাশাপাশি চা বাগানে কাজ করতে গেলে শ্রমিকদের তাড়া করত চিতাবাঘ। এরপর থেকেই বাগানে কাজ করার আগে শব্দবাজি ফাটানো শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাগানের এক কর্মী মাহাত ওরাওঁ বলেন, একটি চিতাবাঘ ধরা পড়ার পর থেকেই অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছে। চা বাগানে কাজ করতে গেলেই শ্রমিকদের তাড়া করছে চিতাবাঘ। বর্তমানে পটকা ফাটিয়ে চিতাবাঘ তাড়িয়ে কাজ শুরু করা হচ্ছে। বাগানের আরেক স্থায়ী কর্মী শিবু ভুঁইমালি বলেন, এই চা বাগানে একটা নয় একাধিক চিতাবাঘ আছে। আশ্চর্যের বিষয় হল চিতাবাঘের উৎপাত আগেও ছিল কিন্তু এতটা নয়। চিতাবাঘ ধরা পড়ার পর থেকেই অত্যাচার কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। একসপ্তাহে ৩০টি ছাগল ও ২২টি গোরু মেরে ফেলেছে চিতাবাঘে। আমরা চাই চিতাবাঘ ধরার জন্য একাধিক খাঁচা পাতা হোক।
বনদপ্তরের খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল কুমার দে বলেন, চা বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে। আমরা দ্রুত খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করছি।