বড়বাজারের দোকানগুলিতে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড সোয়াইপ করলেই মিলছে ক্যাশ, দিতে হচ্ছে কমিশন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একটি ঠান্ডা পানীয়ের দোকান। বড়বাজারের অমরতলা স্ট্রিটে পাশাপাশি রয়েছে এমন দশ-বারোটি দোকান। তাঁরা হাঁকছে, ‘অনলি ক্যাশ, অনলি ক্যাশ!’ দোকানে পোস্টার, তাতে লেখা— ‘এটিএম সে প্যায়সা নিকালো। ক্রেডিট, ডেবিট কার্ড, জি-পে, ফোন-পে লেতে হ্যাঁয়।’ খোঁজ নিতেই জানা গেল, ওই দোকানগুলিতে অনলাইন পেমেন্ট হোক কিংবা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড সোয়াইপ করলেই মিলছে ক্যাশ। তবে প্রতিটি লেনদেনে দিতে হবে কমিশন। এক হাজার টাকার নীচে কমিশন ১০ টাকা। এ রাজ্যের সবচেয়ে বাণিজ্যকেন্দ্রে এভাবেই দিনভর চলছে টাকার কালোবাজারি।
অমরতলা স্ট্রিটে রয়েছে বহু খেলনার দোকান। এই স্ট্রিট ধরে কিছুটা এগলেই গলির ভিতরে রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক। তার নীচেই এটিএম। এই চত্বরে আর কোনও এটিএম নেই। দোকানগুলিতে বড় আকারে টাঙানো রয়েছে অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপে ব্যবহৃত কিউআর কোড। স্টল মালিকরা বসে রয়েছেন কার্ড সোয়াইপের মেশিন নিয়ে। এই স্টলগুলি নিজেদের ‘এটিএম’ বলেই দাবি করে। এক দোকানি বললেন, ‘কত টাকা লাগবে বলুন? হাজার টাকার নীচে প্রতি লেনদেনে ১০ টাকা বেশি দিতে হবে। তবে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকলে ৫০ শতাংশ ছাড়। সেক্ষেত্রে চার্জ পাঁচ টাকা।’ আশপাশের দোকানগুলিতেও একই রেট। ওই দোকানির সাফ কথা— ‘যেখানে যাবেন সেখানেই একই হারে কমিশন দিতে হবে। এখানে সবাই একসঙ্গেই ব্যবসা করে।’
ওই পাড়ার এক পান দোকানি বললেন, ‘এটিএমে বেশিরভাগ সময় টাকা থাকে না। এই সুযোগ নেয় স্টলগুলি।’ এলাকার ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বড়বাজারের বেশিরভাগ বিক্রেতাই নগদে লেনদেন করেন। তবে প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে নগদ রাখার প্রবণতা এখন কমেছে। অনেকেই অনলাইন পেমেন্ট বা ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের ভরসায় কেনাকাটা করেন। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে দোকানিরা।