লিঙ্গ-বিতর্কে অলিম্পিক! ইমন খেলিফ কি জৈবিক পুরুষ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বক্সিং রিংয়ে নেমে মাত্র ৪৬ সেকেন্ডে জয় পেয়েছেন আলজেরিয়ার ইমন খেলিফ, নাম প্রত্যাহার করে নেন ইতালির মহিলা বক্সার অ্যাঞ্জেলা কারিনি। জানান, প্রতিপক্ষের থেকে এমন জোরে আঘাত কখনও পাননি। খেলিফের ঘুষিতে কারিনির নাক থেকে রক্ত ঝরছিল। কারিনি বক্সার রিং ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় শুরু হয় নতুন বিতর্ক। সমালোচনার মুখে পড়েন আলজেরিয়ার বক্সার খেলিফ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদকের ম্যাচের আগে বহিষ্কার করা হয়েছিল খেলিফকে। এক্স, ওয়াই ক্রোমোজোমের অ্যাথলিটরা মেয়েদের প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন না, এই যুক্তিতে আলজেরিয়ার বক্সারকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক আইওসি, তারা খেলিফকে খেলায় নামার ছাড়পত্র দিয়েছে।
খেলিফের লিঙ্গপরীক্ষায় দেখা যায়, তাঁর শরীরে এক্স এবং ওয়াই ক্রোমোজম রয়েছে। যা কেবল ছেলেদের শরীরে থাকে। মেয়েদের শরীরে থাকে এক্স এক্স ক্রোমোজম।
অলিম্পিক কমিটির বক্তব্য, খেলিফের শরীরে এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজম এবং টেস্টোস্টেরনের উপস্থিতির ঘটনাকে খুবই দুর্লভ। এক্স, ওয়াই ক্রোমোজম এবং টেস্টোস্টেরন যে মহিলাদের শরীরে থাকে, তাঁদের পেশির শক্তি বেশি হয়। হারের জোর বেশি হয়। তাঁরা তাড়াতাড়ি নড়াচড়া করতে পারেন। যৌনাঙ্গ হয় পুরুষের মতো। বক্সিংয়ের মতো খেলায় যা প্রতিপক্ষের জন্য খুবই সাংঘাতিক হতে পারে। তবে অলিম্পিক কমিটি এ ধরনের মহিলাদের বাদ দিতে রাজি নয়।
উল্লেখ্য, ২০১২ ও ২০১৬ সালের অলিম্পিকে সোনার পদকজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাস্টার সেমেনিয়ার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছিল। ২০২০ অলিম্পিক্সে তাঁকে নামতে দেওয়া হয়নি।