বিরোধীদের আপত্তি উপেক্ষা করেই লোকসভায় পেশ ওয়াকফ বিল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার দুপুরে সংসদে ওয়াকফ বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সরকার জানিয়ে দিল, এই বিল আইনে পরিণত করে ওয়াকফ সম্পত্তি তথা বোর্ডের ওপর কেন্দ্র সর্বদা নজরদারি করবে। যদিও শেষমেশ বিলটি পাঠানো হচ্ছে জেপিসি (জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি)তে। যেখানে বিস্তারিত আলোচনার পরেই সংসদে পাশ করানো হবে বিলটি। তবে নজিরবিহীনভাবে বিল পেশেই আলোচনা হল দু ঘণ্টা।
এই আইন সংশোধনের চেষ্টা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এ বার লোকসভায় বিল সংশোধনী উত্থাপনের বিরুদ্ধে নোটিস দিলেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল এবং হিবি ইডেন। সংসদেও বার বার ভারতীয় সংবিধান উদ্ধৃত করে ভিন্ন ধর্মের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করলেন তাঁরা। এদিন ওয়াকফ প্রসঙ্গ উত্থাপন করা মাত্রই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁরা মনে করছেন, হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দিতেই ওই বিতর্কিত বিল পেশের পরিকল্পনা।
প্রস্তাবিত সংশোধনটি গ্রাহ্য হলে এর পর থেকে আইনটির নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। এই বিলে পুরনো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সংশোধনের মূল লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
দেশজুড়ে ওয়াকফের যে ৯. ৪ লক্ষ হেক্টর জমি রয়েছে, তা হরণ করাই সরকারের উদ্দেশ্য বলেই অভিযোগ তাঁদের। যা নিয়ে সরকার-বিরোধী প্রবল হল্লাও হল। সভায় রাহুল গান্ধী হাজির থাকলেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। জগন্মোহনের দলের এমপি মিথুন রেড্ডিও বিল পেশের বিরোধিতা করেন। সরকারের শরিক টিডিপি এমপি হরিশ বালযোগী বিলটি সমর্থন করেও বিরোধীদের সুরেই গলা মেলালেন। বললেন, এখনই পাশ না করে বিস্তারিত আলোচনার জন্য কোনও সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হোক।