সীমান্তে কাঁটাতারের ওপারে ভিড় জমছে, ৭১’এর পুনরাবৃত্তি চাইছে না নয়াদিল্লি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। অস্থিরতার সুযোগে খুনোখুনি ও লুটতরাজ চলছে বাংলাদেশজুড়ে। হামলা চলেছে ধর্মীয় স্থানেও। হিংসার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না খ্যাতনামা শিল্পী, অভিনেতারাও। অত্যাচারের শিকার হয়ে আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বহু মানুষ। সীমান্তে কাঁটাতারের ওপারে রাতারাতি ভিড় জমছে। প্রাণে বাঁচতে ভারতে ঢুকে পড়তে চাইছেন কাতারে কাতারে বাংলাদেশি নাগরিক। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে শীতলকুচির পাঠানটুলি, জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ির মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় চাপ বাড়ছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও কার্যত এক পরিস্থিতি। কাঁটাতারের ওপারে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় যেভাবে ভিড় বাড়ছে তাতে ফিরে আসছে ৭১’-এর স্মৃতি।
১৯৭১ সালের পুনরাবৃত্তি চাইছে না নয়াদিল্লি। অনুপ্রবেশের চেষ্টা থামাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি একটি সূত্র বলছে, সেবার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ উদ্বাস্তু মানুষ চলে এসেছিলেন এপারে। সেই চাপ সামলাতে নাজেহাল হতে হয়েছিল প্রশাসনকে। তবে এবার শরণার্থীদের চাপ যতই আসুক না কেন, আর দরজা হাট করে খুলে দিতে নারাজ ভারত। তাই সতর্ক করা হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ)। পাশাপাশি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে শুক্রবার একটি কমিটিও গঠন করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই ঘোষণা করেন। মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজির নেতৃত্বে ওই কমিটিতে থাকছেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত সদর দপ্তর ও ত্রিপুরা সীমান্ত সদর দপ্তরের আইজি, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সচিব ও সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)।
এদিন এক্স হ্যান্ডলে অমিত শাহ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার কথা মাথায় রেখে ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতিতে নজর রাখতে মোদি সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। ভারতীয় নাগরিক, সেখানে বসবাসকারী হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে ওই কমিটি।’