দেশ বিভাগে ফিরে যান

আদানি- SEBI কর্তা আঁতাত! বিস্ফোরক দাবি হিন্ডেনবার্গের, সরব তৃণমূল

August 11, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শনিবার সকালে সমাজ মাধ্যমে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ জানিয়েছিল, ভারতে বড় কিছু ঘটতে চলেছে। সন্ধ্যা গড়াতেই প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য। এবার প্রশ্ন উঠছে, ভারতের শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক স্বশাসিত সংস্থা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া তথা সেবির নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে!

হিন্ডেনবার্গের বিস্ফোরক দাবিতে জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সেবির বর্তমান চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামীর আদানির কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে।

বছর দেড়েক আগে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছিল হিন্ডেনবার্গ। আয়কর ফাঁকি দিতে বিদেশে সংস্থা খোলার প্রবণতা দেখা যায়। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আদানি কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে ভুয়ো কোম্পানি খুলে টাকা সরিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অভিযোগের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল সেবির উপর।

যে সংস্থার উপর তদন্ত ভার, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সেই সংস্থার কর্তার যোগ রয়েছে, এমনকি বাণিজ্যিক স্বার্থেও জড়িয়ে রয়েছে। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর ১৮ মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু আদানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। মরিশাস ও বিদেশে অন্যান্য ভুয়ো কোম্পানিতে তাদের লেনদেনের ব্যাপারে সেবি কোনও পদক্ষেপ করেইনি।

হিন্ডেনবার্গের দাবি, মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামী মরিশাস ও বারমুডার এমন সব ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন, যে সংস্থাগুলোর সঙ্গে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। ২০১৫ সালে বিনিয়োগগুলো করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সেবির পূর্ণ সময়ের সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা হয় মাধবীকে। ২০২২ সালে সেবির চেয়ারপার্সন হন তিনি। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মাধবী সেবির সদস্য হওয়ার আগে, বিদেশি কোম্পানিগুলিতে স্ত্রীর সমস্ত বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন স্বামী। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিনিয়োগগুলো করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্ট হাতিয়ার করে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেবি কর্তার প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। তিনি লেখেন, “এখন প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ জানানোর পরেও; সেবি কর্তা কেন বিজেপির এক্সিট পোল-স্টক মার্কেট দুর্নীতির তদন্ত করতে রাজি হননি।” উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া জোটের সদস্য দলের সাংসদেরাও সেবির সঙ্গে বৈঠক করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সাকেত প্রশ্ন তুলছেন, সেবি কি এখনও স্বশাসিত?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Adani, #SEBI

আরো দেখুন