এই গানগুলো জাগ্রত করুক দেশপ্রেমের ভাবনা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্বাধীনতা দিবস মানেই পাড়ার মোড়ে দেশাত্মবোধক গান, প্রভাতফেরি। এই নিয়ম চিরাচরিত। এত বছরেও একটুও বদলায়নি বাঙালির সংস্কৃতি মনস্কতা। আর স্বাধীনতা দিবস মানেই তো আবেগ। পাড়ার মোড় বা প্রভাত ফেরীর স্বাদ না পেলেও, থেকে যাক আবেগটুকু।
শুনুন এই দেশাত্মবোধক গানগুলি। স্মরণ করুন সেই লক্ষ লক্ষ শহীদদের, যাদের বলিদান স্বরূপ ভারত স্বাধীন হয়েছিল।
জন গণ মন
দেশের জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে দিন শুরু হবে এটাই স্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথের লেখা এই গান আলাদা আবেগ বহন করে।
ও আমার দেশের মাটি
রবি ঠাকুরের লেখা স্বদেশ পর্যায়ের গানগুলির মধ্যে অন্যতম মর্মস্পর্শী রচনা।
কারার ঐ লৌহ কপাট
বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের এই গানও বাঙালির দেশাত্মবোধক গানের তালিকায় দিব্যি ঢুকে যায়। নজরুলের ভাঙার গান হিসাবে পরিচিত এই গান।
উঠ গো ভারত লক্ষ্মী
বাঙালির দেশাত্মবোধক গানের তালিকায় আরও একটি সংযোজন অতুলপ্রসাদ সেনের এই গান। দেশপ্রেমের অতুলনীয় বর্ণনা এই গানের কথায় কথায়।
দুর্গম গিরি কান্তর মরু
নজরুল ইসলামের এই গান দুঃসময়ে প্রেরণা জাগানোর গান। সাম্য, মৈত্রী ও জাগরনের গান এই নজরুলগীতি। এই গানের কথা ও সুর বিদ্রোহী কবির।
ধন ধান্য পুষ্প ভরা
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত এই গানটি আজও লোকমুখে ফেরে। জন্মভূমির প্রতি প্রেম ও সম্মান গানের প্রতিটি ছত্রে ধ্বনিত হয়।
বাংলার মাটি বাংলার জল
এই গানের গীতিকার ও সুরকার দুই-ই বিশ্বকবি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রতিবাদের ধ্বনি।
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মত রজনীকান্ত সেন রচিত এই গানটি স্বদেশি আন্দোলনের সময় জনপ্রিয়তা পায়।
ভারত আমার ভারতবর্ষ
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এই গানও দেশাত্মবোধকে জাগ্রত করে। অজয় দাসের সুরে গানটি গেয়েছিলেন মান্না দে।
ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম
শিবদাস বন্দ্যোরপাধ্যায়ের লেখায় এই গানটির সুর করেছিলেন ওয়াই এস্ মুলকি। ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার গেয়েছে এই গানটি।
বন্দে মাতরম
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৮২ সালে আনন্দমঠ উপন্যাসে লিখেছিলেন এই গান, যা অনায়াসে দেশত্মবোধক গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।