বিরোধীদের কড়া জবাব, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন পরম
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি কর-কাণ্ডে সরব সেলেব থেকে আম জনতা সবাই, দাবি, ‘বিচার চাই’। ‘ মেয়েদের রাত দখল’-র রাতে সস্ত্রীক পথে নামেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ‘শাসকদলের সমর্থক’ খোঁচায় বিঁধে যাচ্ছেন বঙ্গের বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। আরজি কর-কাণ্ডে বিরোধীরা যে’সব রাজনৈতিক প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন, সবগুলোর সঙ্গে সহমত না-হওয়ায় কটাক্ষ, সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে অভিনেতাকে। এবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি, পাল্টা বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকেও।
সমাজমাধ্যমে পরমব্রত স্পষ্ট জানান, তিনি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ নন। পরমব্রত লেখেন, “রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, এই তকমা বার বার গায়ে লাগে আমার! অতীতেও বহুবার হয়েছে! না আমি শাসকদলের সদস্য বা কর্মী, না আমি তাদের নেতা-মন্ত্রী। না আমি তাদের একনিষ্ঠ সমর্থক। না আমাকে তারা খাওয়া, না পরায়। আমি থাকি তাদের কোনও মিটিং-মিছিলে? থাকি না! তা হলে বার বার এই কথা শুনতে হয় কেন?”
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলগুলির সমর্থকেরা যদি প্রত্যাশা করেন সবাই তাদের সুরেই গলা মেলাবেন, তাহলে তো ভুল হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকের ভাবনাচিন্তা তো ভিন্ন ! আমার তো বটেই। আদর্শের জায়গা থেকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিপরীত মেরুর লোক আমি। এই পরিস্থিতিতে, আপনাদের সব পক্ষের অনেকগুলি দাবির সঙ্গে আমি সহমত। কিন্তু সব নয়।”
পরমব্রত আরও লেখেন, “উন্নাওয়ের সময়, হাতরাসের পরে, কিংবা মণিপুরের ঘৃণ্য ঘটনায়, আসিফার মৃত্যুর পর, এমনকি তিন-চার দিন আগে মুজফ্ফরনগরের ঘটনায় এ ভাবে এতটা ফেটে পড়েননি কেন? ওইগুলোও নারকীয়, আরজি করের ঘটনাও তাই। ওগুলির সমর্থনে যুক্তি সাজানোর বা ধামাচাপা দেওয়ার কোনও অবকাশ নেই, ঠিক যেমন আরজি করে ঘটনাতেও নেই। নিরপেক্ষ এবং দ্রুত বিচার ওগুলিতেও দরকার ছিল, এখানেও!”
নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন, “কে কোন মিছিলে কবে গেল, ক’পা রাস্তা হাঁটল, ক’টা কথা বলল, সেগুলি আপনার পছন্দ মতো হল কি না! এই ‘উইচ হান্টিং’ করতে গিয়ে আসল বিষয়টা থেকে নজর ঘুরে যাচ্ছে না তো? এটা করে কিছু রাগ প্রকাশ করা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু যেখানে আসল কৈফিয়ত চাওয়ার কথা সেখানে ফাঁক থেকে যাচ্ছে। সারা দেশে মহিলাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার গোটা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার, সেটার জন্যে সকলে মিলে দাবি জোরদার করি আসুন!”