অনিন্দ্য-মধুজার ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের সুর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গুঞ্জনটা বেশ কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ঘর ভাঙতে চলেছে গায়ক অনিন্দ্যের। যদিও প্রকাশ্যে তিনি কখনও এই নিয়ে মন্তব্য করেননি। গায়কের স্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা থেকে দূরে, মুম্বইয়ে থাকতে শুরু করেন। তবু এ সবের মাঝে একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আইনি বিচ্ছেদের পথেই এগোলেন দম্পতি।
প্রায় ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ বার ভাঙছে সেই বিয়ে। মাঝখানে ‘জুজু’মণি (অনিন্দ্য-মধুজার পুত্র জুজু)। চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের একটি বিখ্যাত গান ‘জুজু সোনা’ তাঁদের ছেলের জন্মের আগের। বিচ্ছেদ ঘোষণার ক্ষেত্রেও মধুজার কণ্ঠে জুজুর কথা। তিনি জানান, তাঁদের বিয়ের বিচ্ছেদ হলেও জুজুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়নি।
স্মৃতির পাতা ঘেঁটে মধুজা লিখেছেন, “অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি। ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম- বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য।”